আলিপুরদুয়ার: শহরে নির্মমতার ছবি। ফাঁকা বাড়িতে মৃত্যুর পর পচে গেল দেহ। টের পেলেন না প্রতিবেশীরা। আলিপুরদুয়ার শহরের ঘটনা। তবে মৃত ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ার শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া এলাকার একটি ঘরের ভেতর থেকে ওই ব্যক্তির পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম রাজু বিশ্বাস (৪০)। তিনি পেশায় দিন মজুর ছিলেন।
তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। এক মেয়ে নবম ও অন্য দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়ে। কিন্তু প্রায় তিন বছর আগে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে জংশনে বাপের বাড়িতে থাকেন। মধ্যপাড়ার বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি । মেয়েরা মাঝে মধ্যেই বাবার কাছে এসে থাকত। এদিন দুপুরে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশে খবর দেয়। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এদিন খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও দুই মেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। স্ত্রী রত্না বিশ্বাস বলেন , ‘তিন বছর আগে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় রাজু। তার পর থেকে আমি দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকি। মেয়েরা কয়েকদিন আগে বাবার কাছে এসে দুই দিন ছিল। রবিবার ওরা আমার কাছে ফিরে যায়। সোমবার থেকে মেয়েরা ফোন করে ফোনে পাচ্ছিল না রাজুকে। এদিন খবর পেয়ে এসে দেখলাম এই অবস্থা। খুন না আত্মহত্যা বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করুক।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরের ভেতর গ্যাস-সহ অন্যান্য জিনিস লন্ডভন্ড ছিল। আলিপুরদুয়ার থানার আই সি অনির্বান ভট্টাচার্য বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই মুহুর্তে কিছু বলা যাবে না।’
রাজকুমার কর্মকার