Babul Supriyo | Jagdeep Dhankhar: রাজ্যপালের ‘বেনজির’ অনুমতিতে অবশেষে হবে শপথ, তবু ‘দুঃখে’ বাবুল সুপ্রিয়! কারণ কী?

#কলকাতা:‌ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ই একপ্রকার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়র বিধায়ক পদে শপথগ্রহণের বিষয়ে। অবশেষে সেই জটিলতা কমালেও বাবুলের শপথের জন্য ফের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘এমপাওয়ার্ড’ করলেন রাজ্যপাল। এর আগে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের শপথেও একই কাণ্ড করেছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘সংঘাতের’ জেরেই রাজ্যপালের তরফে এই ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে।

শুক্রবার একটি টুইট করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। লিখেছিলেন, ”‌বিধায়ক হিসাবে আমার ‘‌শপথ’‌–এর বিলম্বে (সবকিছু সত্ত্বেও) আমি অত্যন্ত হতাশ। বালিগঞ্জ আমাকে তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত করার পর ইতিমধ্যেই দু’‌সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। আমার মনে হয় এমনটা ভাবার কারণ আছে যে সম্মানীয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আমার প্রতি আরেকটু দয়াপরবশ হতে পারতেন। ধৈর্য ধরে ধৈর্যের অনুশীলন করাই এখন আমার কাজ।”

প্রসঙ্গত, বিজেপির মন্ত্রী থাকাকালীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আর এবার তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র শপথে তিনিই কার্যত ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বাবুলের শপথ গ্রহণ ঘিরে শুরু হয়েছিল নজিরবিহীন জটিলতা। তৃণমূলের অভিযোগ, এর মূলে ছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। বর্তমান রাজ্যপালের আমলে যে কোনও শপথগ্রহণ ঘিরেই বিতর্ক যেন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।

আরও পড়ুন: রাত দেড়টা, বাড়ির দিকে এগিয়ে এল পাথরের চাঁই, সঙ্গে আগুন! টিটাগড়ে প্রাণে বাঁচলেন বহু মানুষ

সদ্যসমাপ্ত বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের পর জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র শপথের জন্য ফাইল তৈরি করে রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। বিধানসভা থেকে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়, যাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বিধানসভা থেকেই করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষ যাতে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করতে পারেন। কিন্তু এই চিঠি হাতে পাওয়া মাত্রই বেঁকে বসেন রাজ্যপাল। বিধানসভাকে বেশ কিছু ‘শর্ত’ চাপিয়ে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠিয়ে দেন তিনি। কিন্তু কী সেই শর্ত? রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, এতদিন তিনি বিধানসভা সংক্রান্ত যা যা প্রশ্ন তুলেছেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেলে তবেই তিনি ফাইলে সই করবেন। এর জন্য ব্যাখ্যা দিতে বিধানসভার সচিবকে রাজভবনে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়। যদিও রাজ্য বিধানসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি নেই।

আরও পড়ুন: কয়েক মিনিটেই তাজপুর থেক দিঘা, দ্রুত গতিতে চলছে মেরিন ড্রাইভের কাজ! শেষের মুখে প্রথম সেতু

এরপরই সংঘাতের আবহেই বাবুলের শপথের জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেন। সেই বিষয়েও অবশ্য ট্যুইট করেছেন বাবুল। লিখেছেন, স্পিকারের থেকে শপথ নিতে না পারার জন্য তিনি দুঃখিত। তবে, শেষমেশ যে বাবুলের শপথগ্রহণ হতে চলেছে, তাতেই সন্তুষ্ট শাসক দল তৃণমূল।