পাঁচ বছরের মেয়ের সামনেই গৃহবধূকে গণধর্ষণ, বাগদা কাণ্ড নিয়ে পাল্টা আসরে তৃণমূল

#কলকাতা ও বাগদা: দুর্নীতি কাণ্ডে চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই পরিস্থিতিতে বাগদায় বিএসএফ জওয়ানদের হাতে গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনাকে পাল্টা হাতিয়ার করছে রাজ্যের শাসক দল৷ ইতিমধ্যেই বাগদা ধর্ষণ কাণ্ডে দুই বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ঘটনার প্রতিবাদে আগামিকাল, রবিবার বাগদায় সভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন দলের রাজ্য নেতারাও৷

গত বৃহস্পতিবার রাতে বনগাঁ বাগদা সীমান্তে পাঁচ বছরের মেয়ের সামনেই এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল৷ শাসক দলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে একতরফা সিদ্ধান্তে বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার পরিধি বাড়িয়েছে, তাতে এমন ঘটনা আরও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে৷

বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এ দিন বাগদা সীমান্তেক জিৎপুরে গিয়ে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন৷ বিএসএফ-এর পরিধি বৃদ্ধি নিয়ে সরব হন তিনি৷

আরও পড়ুন: ঝাঁ চকচকে বিশাল বাড়ি, কোটি টাকার জমি! CBI স্ক্যানারে অনুব্রতর ড্রাইভার আনারুল

তৃণমূলের তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়, ‘বিজেপি-র অপশাসনে আমাদের দেশ মহিলারা আরও বেশি করে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছেন৷ মিস্টার অমিত শাহ, আপনার অধীনে থাকা বিএসএফ অফিসার এবং জওয়ান মিলে একজন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে৷ কাউকে কিছু জানালে তার ফল খারাপ হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়৷ এটা সত্যিই আত্মনির্ভর ভারতের উজ্জ্বল উদারহরণ৷’

তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ট্যুইটারে লেখেন, ‘দু’ জন বিএসএফ জওয়ান মিলে একজন গৃহবধূকে যৌন হেনস্থা করেছেন এবং কাউকে কিছু না জানানোর হুমকিও দিয়েছেন৷ বিএসএফ-এর পরিধি বৃদ্ধির বাস্তব ফল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, এই ঘটনা তার প্রমাণ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রক্ষকরা ভক্ষক হয়ে উঠলে তার দায় কে নেবে? হ্যাঁ আমরা শুধু নীরবতাই শুনতে পাচ্ছি৷’

সূত্রের খবর, দালালের সাহায্য নিয়ে নির্যাতিতা মহিলা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার সময়ই তাঁদের আটক করেন অভিযুক্ত দুই বিএসএফ জওয়ান৷ এর পর প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন একটি চাষের মাঠে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়৷ ধৃত দুই বিএসএফ জওয়ানকে আজ বনগাঁ আদালতে তোলা হয়৷ তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করিয়েছে পুলিশ৷ অভিযুক্ত দুই জওয়ানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ৷

বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘কাশ্মীরে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে এমন বহু মিথ্যে অভিযোগ উঠেছে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা দরকার৷ এরকম হয়ে থাকলে তা সত্যিই ভয়ঙ্কর অপরাধ৷’

সহ প্রতিবেদন- অনিরুদ্ধ কীর্তনীয়া