বাংলাদেশের নিহত সাংসদ আনোয়ার উল আজিম৷

Bangladesh MP murder in New Town: নিউ টাউনের আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে পাঁচ কেজি মাংস, দলা পাকানো চুল! বাংলাদেশের সাংসদ খুনে নয়া মোড়

কলকাতা: পুলিশি জেরাতেই আততায়ীরা জানিয়েছিল, বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমকে খুন করার পর তাঁর দেহের টুকরো টুকরো করা মাংস নিউ টাউনের ফ্ল্যাটের শৌচাগারের কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়েছিল! শেষ পর্যন্ত ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকেই উদ্ধার হল পাঁচ কেজি মাংস, হাড়, চামড়া এবং দলা পাকানো চুল৷

তদন্তকারীদের অনুমান, ওই দেহাংশ এবং চুল বাংলাদেশের নিহত সাংসদেরই৷ ওই মাংস এবং চুল মানুষেরই কি না, তা নিশ্চিত হতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাচ্ছে সিআইডি৷ সেই পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এলেই নমুনার ডিএনএ টেস্টও করা হবে৷ পাশাপাশি করা হবে ময়নাতদন্তও৷

আরও পড়ুন: মায়ের বাড়িতে প্রসাদ খেয়ে হুডখোলা গাড়িতে সিমলা স্ট্রিট, কলকাতায় প্রথম রোড শো মোদির

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে আগেই জানা গিয়েছিল, আনোয়ার উল আজিমকে খুন করার পর ওই অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটের ভিতরেই তাঁর দেহের চামড়া ছাড়িয়ে মাংস এবং হাড় আলাদা করেছিল আততায়ীরা৷ এই কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে জিহাদ নামে এক কসাইকেও নিয়ে আসা হয়৷ ধৃত জিহাদকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ৷

এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আরও অন্তত তিন জন বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েও ঢাকা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে৷ ভিডিও কলে তাদের বয়ানও নেন তদন্তকারীরা৷ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, বাংলাদেশের ওই সাংসদের দেহাংশ ভাঙড়ের পোলেরহাটে কৃষ্ণমাটি এলাকার খালে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলে আসে আততায়ীরা৷ কিন্তু বার বার ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি করেও দেহাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷

নিহত সাংসদের দেহ কোথায় গেল, তা নিয়েই এর পর সন্দেহ উঁকি দিয়ে তদন্তকারীদের মনে৷ এর পরই ধৃতদের চেপে ধরতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ধৃতরা দাবি করে, নিহত সাংসদের শরীরের হাড় খালে ফেলে আসা হলেও তাঁর শরীরের টুকরো টুকরো করা মাংস ওই ফ্ল্যাটের শৌচাগারের কমোডের ভিতরে ফেলে বার বার ফ্লাশ করে দেওয়া হয়েছিল৷

জিহাদ সহ ধৃতদের জেরায় এই তথ্য উঠে আসার পরেই নিউ টাউনের ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক এবং নিকাশী নালায় তল্লাশি শুরু করে সিআইডি৷ শেষ পর্যন্ত এ দিন বিকেলের পর সন্দেহজনক ওই মাংস এবং দলা পাকানো চুল উদ্ধার হয়৷