ঢাকা, বাংলাদেশ: ছাত্র বিক্ষোভের জেরে মারাত্মক পরিস্থিতি বাংলাদেশে। শুক্রবার রাত থেকেই দেশজুড়ে জারি হয়েছে কারফিউ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ১০৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় নামানো হয়েছে সেনা। এই পরিস্থিতিতে ভারতে ফিরে আসছেন বাংলাদেশে পাঠরত একাধিক পড়ুয়া। কারফিউর মাঝেই দলে দলে ভারতে প্রবেশ করছেন ছাত্রছাত্রীরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক পরিস্থিতে বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ বলেই খবর। ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৩০০-র বেশি পড়ুযা। রাজধানী ঢাকায় পুলিশ এর আগে দিনের জন্য সমস্ত জনসমাগম নিষিদ্ধ করার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এসি থেকে জলের ছিটে? আসল সমস্যা কোথায়? এখনই সাবধান হন, নাহলেই বিরাট টাকার ধাক্কা
শেখ হাসিনার সরকারের প্রেস সেক্রেটারি নাইমুল ইসলাম খান সেদেশের সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানান, ‘‘কারফিউ জারি করা হবে।’’ পুলিশ প্রধান হাবিবুর রহমানও উক্ত সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, “আমরা আজ ঢাকায় সকল সমাবেশ, মিছিল এবং জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছি, “জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপটি প্রয়োজনীয় ছিল।”
প্রসঙ্গত, হাসিনার সরকারের চাকরির কোটা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে প্রতিবাদ জানিয়েই পথে নেমেছে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভ আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০৫ বলেই জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা মারফত। সমস্ত সমাবেশ এবং জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা সত্বেও প্রায় ২০ মিলিয়ন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের মোকাবিলা হয়। টেলিযোগাযোগ পরিষেবাও ব্যাহত হয়।
সমস্ত সমাবেশ এবং জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ইন্টারনেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ২০ মিলিয়ন লোকের বিস্তৃত মেগাসিটির চারপাশে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের আরেকটি দফা বন্ধ করেনি। টেলিযোগাযোগও ব্যাহত হয় এবং টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। অস্থিরতা নিরসনের জন্য কর্তৃপক্ষ আগের দিন কিছু মোবাইল টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল। বিক্ষোভ থামাতে বন্ধ করা হয়েছিল মোবাইল ফোনের এবং টেলিফোন পরিষেবাও।