তুলির টানে বদলে গেল স্টেশনের নোংরা দেওয়াল

তুলির টানে বদলে গেল নোংরা দেওয়াল ! ব্যারাকপুর স্টেশনে রেলের অভিনব উদ্যোগ 

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: তুলির টানে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল স্টেশনের নোংরা দেওয়াল ! পূর্ব রেলের এই নান্দনিক উদ্যোগে, ব্যারাকপুর স্টেশনের চারপাশের বাইরের দেওয়ালগুলিতে রঙিন চিত্রকর্মের আয়োজন করা হয়। শুধুই রেল স্টেশনের সঙ্গে এই শহরের সংযোগ আরও সুদৃঢ় করা নয়, হুগলি নদীর তীরে ব্যারাকপুরের সমগ্র অঞ্চলের নান্দনিক মূল্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ব্যারাকপুরকে ইতিমধ্যেই ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে, ফলে অতি দ্রুত গতিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি সামগ্রিকভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন– আজ দোলের দিন উষ্ণ আবহাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা ! জেনে নিন আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়ার আপডেট

৭৫০ মিটার দীর্ঘ রেলের প্রাচীর, ব্যারাকপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ঐতিহাসিক কাহিনির এক অপূর্ব ক্যানভাসে পরিণত হয়েছে। এই চিত্রকর্মগুলি আমাদের জাতির গৌরবময় অতীতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে জীবন্ত করে তুলেছে। ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে মঙ্গল পাণ্ডে’র বিদ্রোহ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধিজির অবদানের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি এই চিত্রকর্মগুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিপাহী বিদ্রোহের অমর কাহিনি এবং স্বামী বিবেকানন্দ, ক্ষুদিরাম বসু, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু-র মতো জাতীয় বীরদের সম্মান জানিয়ে তাদের চিত্রকর্ম দেওয়ালগুলিকে আরও মহিমান্বিত করে তুলেছে। এই প্রকল্প ব্যারাকপুর রেল স্টেশনকে করে তুলেছে ইতিহাসের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৫ মার্চ; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

এ ছাড়াও, এই উদ্যোগটি কেবল ঐতিহাসিক স্মৃতিচারণেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপাদানগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করে। দুর্গাপুজোর মতো উৎসবের আনন্দময় মুহূর্তের চিত্রায়ন ও চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী রেলওয়ে প্রাঙ্গণে এক আকর্ষনীয় চমক প্রদান করবে। এ ছাড়াও, বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত চিত্রকলা পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করে, যাত্রী এবং দর্শকদের জন্য আসলেই এক অপূর্ব অভিজ্ঞতার সঞ্চার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক  কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘ব্যারাকপুর এলাকা স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং এই ইতিহাস, সঙ্গে বাংলার বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ধারা ও স্টেশনের দেওয়ালে চিত্রিত প্রেরণামূলক চিত্রকলার মাধ্যমে জীবন্ত রূপ লাভ করেছে।’’