পেঁপে চাষ করতে হলে পাবেন ৪৫ হাজার টাকা অনুদান! জানুন কীভাবে আবেদন করবেন

কলকাতা: আমাদের দেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ, এখানে বিভিন্ন ধরনের কৃষিকাজ করা হয়। যেমন, দেশের অনেক এলাকার মতো বিহারের কিছু এলাকাতেও পেঁপে চাষ হয়।

আমাদের সরকারও পেঁপে চাষকে নানা ভাবে উৎসাহিত করছে। এর আওতায় সরকার এখন টিস্যু কালচারের মাধ্যমে কৃষকদের পেঁপে চাষ করতে উৎসাহিত করছে। এই ধরনের চাষে ভাল ফলনের পাশাপাশি ভাল উপার্জন ও জমির স্বাস্থ্যর দিকেও নজর দেওয়া হয়।

এমন পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত বিহারের খাগারিয়া জেলাকে ভুট্টা উৎপাদনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হত। কিন্তু এখন বটানি বিভাগ এখানকার প্রগতিশীল কৃষকদের লাভজনক ফসল অর্থাৎ পেঁপে উদ্যান চাষের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আরও পড়ুন- ATM-র মতো ব্যবহার করুন Aadhaar Card, পিন মনে রাখার ঝামেলা নেই, দরকার নেই ওটিপিরও

পেঁপে চাষের ভাল সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কৃষকদের পেঁপে বাগান স্থাপনে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে। প্রসঙ্গত আরও জানিয়ে রাখি যে, উদ্যানপালনের ক্ষেত্রে পেঁপে চাষে ভাল সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারও কৃষকদের ক্রমাগত উৎসাহিত করছে।

২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরে ১০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার

খাগারিয়া জেলা উদ্যানপালন কর্মকর্তা রজনী সিনহা জানান, চলতি আর্থিক বছরে ১০ হেক্টর জমিতে পেঁপে বাগান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড হর্টিকালচার ডেভেলপমেন্ট মিশন স্কিমের অধীনে পেঁপে চাষের জন্য কৃষকরা ৪৫,০০০ টাকা করে অনুদান পাবেন।

পেঁপে চাষ করতে কৃষকদের একর প্রতি ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এক হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষের জন্য পেঁপে চাষিদের খরচ করতে হবে মাত্র ১৫,০০০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের প্রতি গাছে ৬.৫০ টাকা খরচ করতে হবে। এছাড়াও পেঁপের চারাও কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- বড়লোক হতে চাইলে পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা রাখুন, হাতে আসবে বিপুল টাকা

এমন পরিস্থিতিতে, কেউ যদি খাগারিয়ার কৃষক হয়ে থাকেন এবং পেঁপে চাষে আগ্রহী হন, তাহলে ইন্টিগ্রেটেড হর্টিকালচার ডেভেলপমেন্ট মিশন প্রকল্পের অধীনে পেঁপে চাষে ভর্তুকির সুবিধা পেতে, নিজেদের ব্লক উদ্যানপালন অফিস বা জেলা উদ্যানপালন অফিসে যেতে হবে। আবেদনের জন্য সময়, কৃষকরা horticulture.bihar.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়েও আবেদন করতে পারেন।