ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর হওয়ায় অনেকেই ত্বক এবং চুলের যত্নে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা কি ঠিক? বিস্তারিত জানাচ্ছেন রঞ্জন দাস।ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ বাড়িতেই এখন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু শুধু তাই নয়, স্কিন কেয়ারেও নাম লিখিয়েছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর হওয়ায় অনেকেই ত্বক এবং চুলের যত্নে এটি ব্যবহার করেন।ত্বকের পিএইচ ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে অ্যাপেল সাইডার।এর পাশাপাশি মুখে ব্রণ-উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে। ত্বকের হাজারও সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার।অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে। পাশাপাশি ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। স্ক্রাব ছাড়াই যদি ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে চান, তাহলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করুন। এটি বার্ধক্য থেকে আপনাকে দূরে রাখবে এবং ত্বক দেখাবে সুন্দর এবং আকর্ষণীয়।একইভাবে চুলও ভাল রাখে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। এর প্রাকৃতিক এনজাইম এবং ভিটামিন চুলের বৃদ্ধিতে এবং স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে। স্ক্যাল্পও পরিষ্কার থাকে।তবে উচ্চ পরিমাণে অ্যাসিডিক উপাদান থাকায়, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মাখলে ত্বকে র্যাশ, জ্বালাভাব বাড়তে পারে। পিএইচ স্তর নষ্ট হয়ে গিয়ে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। একজিমার সমস্যাও হতে পারে। তাই এটি ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। আর জলের সঙ্গে মিশিয়ে এটি শরীরে কিংবা চুলে ব্যবহার করুন।
