মাশরুম একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাদ্যদ্রব্য। এটি সারা বিশ্বেই বেশ প্রচলিত। ভারতেও বিভিন্ন খাবারে মাশরুম ব্যবহারের রীতি রয়েছে। এটি জরায়ুর মুখের ক্যানসারের চিকিৎসায় একটি নতুন আশা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। মাশরুম দীর্ঘকাল ধরে স্বাস্থ্যকর খাদ্যদ্রব্য হিসেবে পরিচিত এবং এটি সারা বিশ্বে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়।মাশরুম শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী করে না, এটি ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। ঋষিকেশের কায়কল্প হারবাল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. রাজকুমারের মতে, মাশরুমে উপস্থিত বিশেষ উপাদানগুলি ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়ক।মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ডি, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরে ফ্রি ব়্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি কমায়। এর নিয়মিত সেবন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি নিয়মিত সেবন করলে তা আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। এছাড়াও হাড় মজবুত করতে এবং ত্বকের যত্ন নিতেও মাশরুমের ব্যবহার সহায়ক।মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটিতে উপস্থিত ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে।বর্তমানে সার্ভিকাল ক্যানসারের চিকিৎসাতেও মাশরুম ব্যবহারে করা হয়। মাশরুম জরায়ুমুখের ক্যানসারের চিকিৎসায় বিশেষ ভাবে উপকারী বলে মনে করা হয়। কিছু ধরনের মাশরুম, যেমন শিতাকে এবং টার্কি লেজ, বায়োঅ্যাকটিভ যৌগে সমৃদ্ধ। এগুলিতে উপস্থিত বিটা-গ্লুকন এবং পলিস্যাকারাইড কে-র (PSK) মতো উপাদানগুলি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।মাশরুম বিভিন্ন ভাবে সার্ভিকাল ক্যানসারের চিকিৎসায় পরিপূরক থেরাপি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একইসঙ্গে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং চিকিৎসার কার্যকারিতাকে উন্নত করে। তাই নিয়মিত ডায়েটে মাশরুম ব্যবহার করা যেতে পারে।
