বিনোদন Bengali Actress Tragic Life: মাত্র ১৫-এ বিয়ে, মেয়ের মৃত্যু হয়েছে চোখের সামনে! বিনোদ খান্নার নায়কোচিত চেহারায় ছিলেন মত্ত, কে বলুন তো বাঙালি নায়িকা! Gallery April 28, 2024 Bangla Digital Desk ৭০ দশকের এই অভিনেত্রী শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, সৌন্দর্য দিয়েও মানুষের মনে রাজত্ব করতেন। তিনি যখন কাঁদতেন, প্রেক্ষাগৃহের দর্শরাও কাঁদত। যখনই তিনি হাসতেন, থিয়েটার করতালিতে ফেটে পড়ত। তার সময়ে তিনি অনেক হিট ছবিতে কাজ করেছেন। সুন্দর মুখ এবং সুন্দর হাসির সেই অভিনেত্রী হলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র এবং বিনোদ খান্নার মতো বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। খুব অল্প বয়সেই তাঁর বিয়ে হয়। মৌসুমী মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন এবং ১৮ বছর বয়সে তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এর পরই তিনি চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। তিনি দেবানন্দের বড় ভক্ত ছিলেন। আজও তিনি দেবানন্দের প্রতি মুগ্ধ। মৌসুমী ৭০-৮০ দশকের সুপারস্টার বিনোদ খান্নার জন্য পাগল ছিলেন। কপিল শর্মার শো-তে কপিল তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সেই যুগে সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা কে? মৌসুমী বলেছিলেন, বিনোদ খান্নার মতো সুদর্শন আর কেউ ছিলেন না, তাঁর চেহারা আসলে একজন নায়কের মতো ছিল, তিনি ছিলেন সেই যুগের সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি মৌসুমী তাঁর চনমনে এবং সাহসী স্বভাবের জন্যও পরিচিত। ‘ঘায়েল’ ছবির সেটে একটু দেরিতে আসায় ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওলকে বকুনি দিয়েছিলেন। মৌসুমী নিজের শর্তে কাজ করতেন। রেখার সঙ্গে ১৯৭৮ সালের ‘ভোলা-ভালা’ ছবিতে কাজ করেছিলেন এবং ছবির শিরোনামে মৌসুমীর আগে রেখার নাম ছিল। এতে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে তিনি প্রকাশ্যে রেখাকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। ৭৬ বছরের সেই বর্ষীয়ান বাঙালি অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন খুবই কষ্টের। হেমন্ত কুমারের ছেলে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কম বয়সে বিয়ে হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাও হন তাড়াতাড়িই। মৌসুমী দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। পায়েল চট্টোপাধ্যায় ও মেঘা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০১৯ সালে পায়েলের মৃত্যু হয়। ছোট থেকে ডায়াবেটিসে ভুগতেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে কোমায় ছিলেন। সুজিত সরকারের ‘পিকু’ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের মাসির চরিত্রে অভিনয় করে ফের দর্শকদের মনজয় করেছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তার পরেই মেয়ের মৃত্যু। এর পর থেকে তাঁকে আর তেমন ভাবে পর্দায় দেখা যায়নি।