Oath Taking Controversy: শপথগ্রহণ ঘিরে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি, রাজ্যপালের ‘পোস্ট’কে গুরুত্বই দিলেন না স্পিকার, পাল্টা তোপ!

কলকাতা: দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ পর্ব মিটলেও রাজ্যপাল এবং স্পিকারের মধ্যে তোপ পাল্টা তোপ অব্যাহত৷ দুই বিধায়কের শপথগ্রহণকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠানোর কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ তবে, রাজ্যপালের সেই ‘সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট’কে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রাজ্যপালের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কথায় আমি খুশি। আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কোনও কথার জবাব আমি দেব না। ওঁর কোনও ক্ষমতা নেই স্পিকারকে অপসারণ করার।’’

তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘রাজ্যপালের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকে আমি গুরুত্ব দিতে নারাজ। যা করেছি আইন মেনে করছি৷’’

বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলে, সেই মতো শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই অধিবেশন অবশ্য বয়কট করেন বিজেপি বিধায়কেরা৷ ওই অধিবেশনেই নব নির্বাচিত দুই প্রতিনিধিকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপরে, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারকে বিধায়ক হিসাবে শপথ পাঠ করান বিমান৷

আরও পড়ুন: দুই বিধায়কের শপথগ্রহণকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে তোপ! এবার আরও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছেন রাজ্যপাল

এরপরেই, বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন বলে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান রাজ্যপাল৷ তাঁর কথায়, তিনি ডেপুটি স্পিকারকে শপথ পাঠ করানোর অধিকার দেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে স্পিকার শপথ পাঠ করান?

যদিও নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন না বলে গত বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে, ডেপুটি স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য স্পিকারের নাম প্রস্তাব করেন৷ তারপরেই তৃণমূলের দুই জয়ী প্রতিনিধিকে বিধায়ক হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার৷

আরও পড়ুন: সারদা মামলায় এবার পি চিদম্বরমের স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট! কী করেছিলেন নলিনী? ১০০০ পাতার নথি পড়ল জমা

সূত্রের খবর, বিধানসভা রুলস অ্যান্ড বিজনেসের দুই নম্বর চ্যাপ্টারের পাঁচ নম্বর ধারা অনুসারে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন দুই বিধায়ককে। এভাবেই তিনি বিতর্ক এড়ানোর পন্থা নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷