বর্ষা এলেই প্রাণ কাঁপে সুন্দরবনের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের

River Erosion: বর্ষা এলেই প্রাণ কাঁপে নদী পাড়ের মানুষগুলোর! সুন্দরবন জুড়ে এখন শুধুই আতঙ্কের ছবি

উত্তর ২৪ পরগনা: বর্ষা এলেই প্রাণ কাঁপে সুন্দরবনের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের করাল গ্রাসে বারেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুন্দরবন। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝে কেটেছে দীর্ঘ একটা যুগের বেশি সময়। কিন্তু সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষের চোখে আজও টাটকা আয়লা, ইয়াস, আমফানের মত একের পর এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের দুঃসহ স্মৃতি।

সুন্দরবনের নদীর পাড়ের বাসিন্দারা দুর্যোগের আশঙ্কায় সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন। এই বর্ষাকাল এলে সেই বিপদ বহুগুণ বেড়ে ওঠে। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে বসবাস করেন তাঁরা। আজও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নির্মম স্মৃতি। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সুন্দরবনবাসীর। সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ সহ সর্বত্র নদী বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদী বাঁধ ভাঙলে ঘর ছাড়া হতে হবে।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩৫০ টাকায় দিন গুজরান! তাও কাজ জোটে না প্রতিদিন

এমন বিপদ থেকে স্থায়ীভাবে বাঁচার জন্য সুন্দরবনের মানুষ চাইছে, এখানকার নদীগুলির বাঁধ কংক্রিট দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হোক। কংক্রিটের নদী বাঁধ পেলে হয়ত কিছুটা নিরাপদ বোধ করবেন এই প্রান্তিক মানুষগুলো। তবে আজও সেই দাবি সামগ্রিকভাবে পূরণ না হওয়ায় বর্ষা আসতেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে।

জুলফিকার মোল্যা