West Bengal Assembly: ‘বলতে না দেওয়া অনৈতিক কাজ হয়েছে,’ নীতি আয়োগ নিয়ে মমতার পাশে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: নীতি আয়োগের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন অধিবেশনে নীতি আয়োগের বৈঠক প্রসঙ্গ উঠলে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘বিরোধীরা ভুলে গেছে মুখ্যমন্ত্রী হলেন লিডার অফ দ্য হাউজ৷…ওনার সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, তা আমার এক্তিয়ারে আসলে আলোচনা হবেই। প্রয়োজনে আমি প্রিভিলেজ করতে পারি৷’’

গত শনিবার ছিল নীতি আয়োগের বৈঠক৷ বৈঠকের শুরুতে প্রায় ২০ মিনিট বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরে একে একে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বলতে দেওয়া হয়। সেই সময় মমতা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেই বৈঠকের তাল কাটে। সূত্রের খবর, প্রথমে বার বার তাঁকে বাধা দেওয়া হয়৷ তার পর তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ ফলে ৫ মিনিটেরও বেশি মমতাকে বলতে দেওয়া হয়নি। এরপরেই নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা৷

আরও পড়ুন: নীতি আয়োগে মমতাকে বলতে বাধা! প্রসঙ্গ উঠতেই উত্তপ্ত বিধানসভা, স্লোগান পাল্টা স্লোগান তৃণমূল-বিজেপির

বৈঠক থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে৷ তবে, তার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, তেমন কোনও ঘটনা ওই দিনের বৈঠকে ঘটেনি৷ এমনকি, মমতার অভিযোগকে অসত্য দাবি করেন বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও৷

সেদিনের পর থেকেই বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করতে চাইছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই মতো সোমবার অধিবেশনে এই বিষয়ক একটি নোটিস পাঠ করেন তৃণমূল বিধায়ক মানস ভুঁইয়া৷

আরও পড়ুন: অবশেষে নিজের দলের সূচনা করছেন প্রশান্ত কিশোর! ঘোষণা করে দিলেন দিনক্ষণ, কবে শুরু পথচলা?

এদিনের নোটিসে মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে) বলতে না দিয়ে অপমান করা হয়েছে৷ বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বারবার তাঁকে আটকানো হয়৷ তিনি কথা বলতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন৷ নীতি আয়োগে মাইক বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।’’ বাংলার কথা বলতে না দিয়ে অপমান করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে, এই অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস।

যদিও মানসবাবুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়কেরা৷ বিধানসভায় এই বিষয় সংক্রান্ত আলোচনার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ৷ শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি বাদানুবাদ৷ স্লোগানিং পাল্টা স্লোগানিং৷

এরপরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘এই আলোচনা নিয়ে কোনও বিতর্ক থাকতে পারে না। সদন মনে করলে এই আলোচনা হতেই পারে। আমি সেই নীতিতে আলোচনা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের কথা বলতে, বিরোধীদের কথা বলতে গিয়েছিলেন। তাঁকে বলতে না দেওয়া অনৈতিক কাজ বলে আমি মনে করি।’’