Emami East Bengal : ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এলেন বিনো জর্জ, লাল হলুদের লক্ষ্য ইংলিশ স্ট্রাইকার মার্ফি

#কলকাতা: শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন শুক্রবার রাতে। রাজারহাটের পাঁচতারা হোটেলে রাত কাটিয়ে শনিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এলেন বিনো জর্জ। কেরালের কোচ অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সাথে সেভাবে কথা বলেননি। হাত মেরে হাসি দিয়ে ঢুকে গেলেন ক্লাবের ভেতর। অবশ্য তিনি আসার আগেই ক্লাবে চলে এসেছিল নতুন বাঙালি ফুটবলাররা।

এবার এক ঝাঁক প্রতিভাবান বাঙালি ফুটবলার নিয়েছে লাল হলুদ। সন্তোষ ট্রফিতে তারা কেউ কেউ খেলেছেন বাংলার হয়ে। অতীতে দেখা গিয়েছে বিনো স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে যথেষ্ট ভাল কাজ করেন। গোকুলাম কেরালা এবং সন্তোষ ট্রফিতে বাংলাকে হারিয়ে কেরলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে সঙ্গে করে তিনজন মালায়ালি ফুটবলার নিয়ে আসবেন তিনি। মাঠ দেখে খুশি তিনি।

বাঙালি ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব এবং তিনি কি চান মূলত এই নিয়েই আজ সভা ছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবে। শোনা যাচ্ছে ইমামি মঙ্গলবার যে সাংবাদিক সম্মেলন করবে তাতে কিছু বিদেশি ফুটবলারের নাম ঘোষণা হলেও হতে পারে। ভেসে আসছে স্ট্রাইকার হেপবার্ন মার্ফির নাম।

স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন বেশ পরিচিত এই ফুটবলারটির সঙ্গে। আস্টন ভিলা ক্লাবের একাডেমি থেকে তার উত্থান। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব দলে খেলেছেন। শেষে ছিলেন সাইপ্রাসের প্রথম ডিভিশন ক্লাব পাফস এফসিতে। এছাড়াও একজন ফরাসি ফুটবলারের সঙ্গে কথা চলছে নাকি লাল হলুদের।

সব মিলিয়ে এইটুকু বোঝা যাচ্ছে শ্রী সিমেন্টের তুলনায় ইমামি শক্তিশালী দল গড়ার চেষ্টা করছে। অমরজিৎ, সুহের, সন্দেশকে নেওয়ার ব্যাপারেও চেষ্টা করবে লাল হলুদ। বাজেট হিসেবে যথেষ্ট বড় টাকা ধরা হয়েছে এবার। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য বেশিটাই নির্ভর করবে বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনের ওপর। কারণ দলবদলের বাজারে পরে নামায় অধিকাংশ ভারতীয় ফুটবলার এখন আর খালি নেই।