Tag Archives: East Bengal Club

Anwar Ali Banned : চার মাস নির্বাসিত আনোয়ার, সঙ্গে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ! শাস্তি ইস্টবেঙ্গলের

 নয়াদিল্লি :   অবশেষে অপেক্ষার অবসান৷ আনোয়ার আলি ইস্যুতে শাস্তির কথা জানিয়ে দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন৷ ভারতের তারকা ডিফেন্ডারকে চার মাসের জন্য ব্যান করা হয়েছে৷ শাস্তির খাঁড়া নেমেছে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসির উপরেও৷ দুই ক্লাব এবং ফুটবলার মিলে ক্ষতিপূরণ বাবদ দেবে প্রায় ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা৷ যার পুরোটাই যাবে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের পকেটে৷

মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি ভেঙে ইস্টবেঙ্গলে সই ৷ আনোয়ার ইস্যু নিয়ে ভারতীয় ফুটবল বেশ অনেকদিন ধরেই সরগরম৷ ফেডারেশনের পিএসসি (প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি) বিষয়টি নিয়ে কী রায় দেয় তারই অপেক্ষা ছিল৷ তাদের সিদ্ধান্তে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটবলেও, লাল-হলুদ ও দিল্লি এফসি আপাতত প্রবল সমস্যায়৷ কারণ, আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়াও এই দুই ক্লাবকে আরও একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ আসন্ন দুই ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোন ফুটবলার সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি৷

আরও পড়ুন : সর্বকালের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার হবেন কে? বড় ভবিষ্যদ্বাণী সৌরভের

দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগানে গিয়েছিলেন আনোয়ার৷ এরপর তিনি দিল্লি এফসিতে ফেরেন৷ তারপর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সই করেন৷ এরপরেই মোহনবাগানের তরফে বলা হয়, পুরো ব্যাপারটাই নিয়মের বাইরে৷ এবং প্রায় একই মত প্রদর্শন করে ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিও৷ ফলে চার মাসের জন্য ভারতের তারকা ডিফেন্ডারকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷

আরও পড়ুন : ৮ মাস পর ভারতীয় টেস্ট দলে কামব্যাক! শক্তি অনেকটাই বাড়ল টিম ইন্ডিয়ার

পিএসসির তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, “আনোয়ার আলিকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হল৷ ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি আসন্ন দুই ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোন ফুটবলার সই করাতে পারবে না। যা শুরু হচ্ছে আসন্ন জানুয়ারি ট্র্যান্সফার উইন্ডো থেকে৷ আনোয়ার আলি, দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল ক্ষতিপূরণ বাবদ মোহনবাগানকে ১২.৯০ কোটি টাকা দেবে৷”

আরও পড়ুন- বাংলাদেশকে হারাতে ভারতের রণনীতি ফাঁস! কী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে টিম ইন্ডিয়া

চার মাসের ব্যান৷ যার মানে, আইএসএলে শুরুতে আনোয়ারকে পাবে না ইস্টবেঙ্গল৷ তবে তাঁর জন্য একটি পথ খোলা আছে৷ শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করে ফিফায় যাওয়ার অপশন আনোয়ারের রয়েছে৷

East Bengal: অপরাজেয় লাল-হলুদ, পিয়ারলেসকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল

কলকাতা: বৃষ্টির জন্য শনিবার ম্যাচ বাতিল হওয়ায় মনখারাপ ছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের। সেই ম্যাচই হল রবিবার। ইস্টবেঙ্গল বনাম পিয়ারলেসের ম্যাচে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেন বিনো জর্জের ছেলেরা। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষেও জায়গা করে নিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচে দুটি গোল করেন মহম্মদ আশিক এবং জেসিন টিকে।
ম্যাচের প্রথম অর্ধ থেকেই নিজের ছন্দেই খেলা শুরু করেন লাল-হলুদ শিবির। পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ আক্রমণে নেমে আসে তাঁরা। কিন্তু, তাতেও গোলের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না লাল-হলুদের ফুটবলাররা। একের পর এক আক্রমণে এক সময় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে পিয়ারলেসের রক্ষণ। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে জেসিন বল নিয়ে আশিককে বাড়িয়ে দেন। তিনি সহজেই বল জালে জড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে প্রথম গোল আসে। ঠিক পরের দ্বিতীয় গোল করেন জেসিন।

আরও পড়ুন: সৌরভ নন, আইপিএলে দিল্লির কোচ ‘এই’ কিংবদন্তি! ছিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলে

বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোল জালে জড়িয়ে ২-০ তে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন তিনি। যখন লাল-হলুদ সমর্থকরা ভেবেই নিয়েছিলেন নিরঙ্কুশভাবেই ম্যাচ জিতবে তাঁরা। ঠিক সেই সময়েই লাল হলুদের রক্ষণের জোসেফ জাস্টিন বক্সে ঢোকেন। এরপরেই গোল কিপার আদিত্য পাত্রের মাথার উপর দিয়ে বল গোলে জড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৮৭ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করলেও ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে যায় ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচে গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। কিন্তু, জেসিন গোল মিস করাতে তা আর সম্ভব হয়নি। ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন, লাল-হলুদ শিবিরের সিনিয়র কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। তাঁর এই রিজার্ভ দলের ছেলেদের খেলা দেখে তিনিও নিশ্চিন্ত মনেই মাঠ ছেড়েছেন।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে ভবানীপুরকে টপকে লীগ শীর্ষে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।

Durand Cup: ডার্বি বাতিল হলেও ডুরান্ডের সেমিফাইনাল-ফাইনাল হোক কলকাতাতেই, বার্তা তিন প্রধানের

কলকাতা: নিরাপত্তার স্বার্থে গত রবিবার ডার্বি বাতিল করে দিয়েছিল প্রশাসন। কলকাতা থেকে ডুরান্ড কাপ প্রতিযোগিতা গোটাটাই সরিয়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরে যৌথভাবে কলকাতার প্রধান তিন দল আবেদন জানাল, ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল যেন কলকাতার বুকেই আয়োজিত হয়। এরসঙ্গেই আরজি করের তরুণী চিকিৎসক যেন সুবিচার পান, দোষীর যেন কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয় সেই দাবিতেও একযোগে তিন প্রধান বিবৃতি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান। এখানেই উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আবহে নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হতে পারে সেই কারণেই ডুরান্ড কাপের ডার্বি বাতিল করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, রবিবার শামিল হন কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা।
গত রবিবার বহু প্রতীক্ষিত ডার্বিতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের গ্যালারিতে ‘প্রতিবাদী’ টিফো নামানোর পরিকল্পনা ছিল বাংলার ফুটবল ময়দানের দুই প্রধানের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের। এর মধ্যেই আচমকা ‘বড় ম্যাচ’ বাতিল করে দেয় বিধাননগর কমিশনারেট। জানানো হয় পুলিশি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে সেই আশঙ্কায় তা বাতিল করা হল। এই প্রসঙ্গে রবিবারই, সাংবাদিক সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, ” কিছু লোক গণ্ডগোল করতে পারে আমরা আগাম খবর পাই। উপস্থিত ৬০-৬২ হাজার দর্শককে নিরাপত্তার কথা ভেবেই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে ন্যায়বিচারের দাবি, শামিল ফুটবলাররাও!ময়দানে চলছে প্রতিবাদ
কিন্তু, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ডার্বি না হলেও শহরের রাজপথের দখল নেন ফুটবলপ্রেমীরা। সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে মিশে যায় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান মাঠের তিন প্রধানের স্বর। তিন সমর্থকদের হঠাতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। ডুরান্ড কাপ কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও অন্য শহরে গিয়েও আরজি কর নিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে যান বাংলার ফুটবলাররা। এহেন পরিস্থিতিতে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল যাতে কলকাতার বুকে আয়োজিত হয় সেই আবেদন করেছে বাংলার তিন প্রধান ফুটবল দল।

Sergio Lobera: ইস্টবেঙ্গলের কোচ হচ্ছেন না লোবেরা, চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ কোচ ফেভারিট তালিকায়

কলকাতা: শেষ পর্যন্ত পারল না ইস্টবেঙ্গল। ঘটা করে আগে থেকে সার্জিও লোবেরা কোচ হচ্ছেন এমন খবর ঘোষণা করে দিয়েও এবার মুখ পুড়ল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের। ভারতীয় ফুটবলেই এলেন লোবেরা। তবে ইস্টবেঙ্গলে নয়, ওড়িশা এফসি দলে। আপাতত তার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করেছে ওড়িশা। তবে টাকার পরিমাণ কত সেটা বলা হয়নি। পরপর ব্যর্থতার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী মরসুমে ভারতে কোচিং করিয়ে খেতাব জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কোচকেই দায়িত্ব দিতে আগ্রহী ছিল।

সার্জিও লোবেরা মুম্বই সিটির হয়ে লিগ শিল্ড ও আইএসএল উভয়ই জিতেছেন, আবার তত্ত্বাবধানেই এফসি গোয়াও লিগ শিল্ড ও সুপার কাপ খেতাব জেতে। লিগ তালিকায় নয় নম্বরে শেষ করেছিল লাল হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার জন্য মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েই দিয়েছিলেন এফসি গোয়া, মুম্বই সিটি এফসির প্রাক্তন কোচ।

লোবেরার কোচিং স্টাফ সহ পাঁচ বিদেশির জন্য বিরাট অঙ্কের আর্থিক বাজেটও মেনে নিয়েছিল ক্লাব। সমস্ত কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পরেও লোবেরার সঙ্গে স্রেফ সই হওয়াই বাকি ছিল। চিনা ক্লাবের তরফ থেকে রিলিজ না পাওয়ার কথা বলে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। উরুগুয়ান লিগের মন্তেভিডিও এফসির সঙ্গেও ভেতর ভেতর কথা চালাচ্ছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ।

তবে এখন মনে করা হচ্ছে লোবেরা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ কার্লোস কুয়াদ্রতকে নিয়ে আসতে পারে ইস্টবেঙ্গল। হাবাসের নাম উঠলেও তার সম্ভাবনা খুব বেশি এমন নয়। তবে কে কোচ হবে সেটা জানার জন্য ২-৩ দিন অপেক্ষা করতে হবে সমর্থকদের। এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চ্যালেঞ্জ তাড়াতাড়ি নিজেদের কোচের নাম ঘোষণা করে দেওয়া।

East Bengal: কোচ লোবেরার পর ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তোলার পথে ইস্টবেঙ্গল, নজর একাধিক ফুটবলারে

কলকাতা: সের্জিও লোবেরাকে এখনও সরকারিভাবে কোচ ঘোষণা করেনি ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের পরে অবশ্য তিন দায়িত্ব নিতে চলেছেন তাতে সন্দেহ নেই। ভারতবর্ষের ফুটবলের অন্যতম সফল ম্যানেজারকে ইস্টবেঙ্গলে আনা মোটেও সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু সেটা করে দেখিয়েছেন লাল হলুদ কর্তারা। জোসেফ গোম্বাও কোচ হিসেবে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলেও ইনভেস্টরদের বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে তাকে আটকাতে সক্ষম হয়েছেন কর্তারা।

দুবছরের চুক্তিতে বড় টাকায় তিনি আসতে চলেছেন লাল হলুদে। তবে তাকে কোচ করার পেছনে একটা নির্দিষ্ট ফুটবল স্টাইল তুলে ধরার পথে যাবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সেটা পরিষ্কার। লোবেরা যে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন বদলে দিয়েছেন খেলার স্টাইল। পেপ গার্দিওলার ভক্ত এই স্প্যানিশ ম্যানেজার জানেন কিভাবে এগোতে হয় লম্বা টুর্নামেন্টে।

আরও পড়ুন – KKR: সাকিবের বদলি ৪ ক্রিকেটারের নাম বিচার করছে নাইট রাইডার্স! শীঘ্রই ঘোষণা হতে পারে

তবে শুধুমাত্র লোবেরাকে দায়িত্ব দিয়ে থেমে থাকতে রাজি নয় ইস্টবেঙ্গল। মাঠে যারা ফুল ফোটাবে, সেরকম কিছু যোগ্য ফুটবলারের খোঁজ করছে তারা। বাজারে খবর এটিকে মোহনবাগানের হুগো বুমু রয়েছে লাল হলুদের তালিকায়। হুগোর সঙ্গে নাকি দূরত্ব তৈরি হয়েছে মোহনবাগান কোচ হুয়ানের। তাকে ছেড়ে দিতে পারে সবুজ মেরুন।

এছাড়াও এফসি গোয়ায় খেলে যাওয়া অর্তিজ, মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার এদু গার্সিয়া আসতে পারেন। ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে রহিম আলি, সাহিল, ভিনসি ব্যারেটো, মন্দার দেশাই, হীরা মণ্ডল রয়েছে তালিকায়। মহেশ, স্বার্থক, রাকিপকে রেখে দেওয়া হবে। রোলিন বর্জেসকে নিয়ে আসার চেষ্টা হবে। তবে কোনও ফুটবলারের সঙ্গে এখনও ডিল চূড়ান্ত নয়।

লোবেরা কোচ হওয়া মানে যাতা ফুটবল খেললে হবে না। একটা নির্দিষ্ট স্টাইল মেনে চলতে হবে। এখন ফুটবলাররা কত তাড়াতাড়ি সেটা রপ্ত করতে পারবেন তার ওপর নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য। লোবেরা অবশ্যই দুর্দান্ত একজন ম্যানেজার, কিন্তু তিনি ম্যাজিশিয়ান নন। ভাল ফুটবলার না করতে পারলে সাফল্য পাওয়া তাই কঠিন।

তবে একটা জিনিস পরিষ্কার। গত তিন বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি প্রস্তুতি নিয়ে নামছে ইস্টবেঙ্গল। কো স্পনসর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে। ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভেস্টর ঝগড়া বিবাদ কমিয়ে এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করছেন। সুতরাং সৎ চেষ্টা আছে ভাল করার। কিন্তু মাঠের লড়াইটা আলাদা।

East Bengal: ইস্টবেঙ্গলের কোচ ফাইনাল হল? চূড়ান্ত তালিকায় ৩ স্প্যানিশ ম্যানেজারের নাম

কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে নতুন বছরের দায়িত্ব পেতে চলেছেন কে? এই মুহূর্তে এটাই ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম হট টপিক। ইনভেস্টর সংস্থা কথা দিয়েছিল আগে একজন যোগ্য ম্যানেজার চূড়ান্ত করা হবে। তারপর দ্রুত ফুটবলার বেছে নেওয়া হবে। কারণ সাফল্য পেতে গেলে প্রথম থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হয়। সেটাই করবে লাল হলুদ। প্রথম তিনবারের ব্যর্থতা থেকে এই শিক্ষা নিয়েছে তারা।

তবে ইনভেস্টর বাজেট বাড়ানোর প্রতিজ্ঞা করলেও, সেটা ঠিক কতটা বাড়বে বোঝা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কো স্পন্সর খোঁজা শুরু হয়েছে। ক্লাব চাইছে সাত থেকে আট কোটি টাকার কো স্পন্সর জোগাড় করতে পারলে কোচ হিসেবে প্রথম পছন্দ লোবেরাকে চূড়ান্ত করে ফেলতে। তালিকায় হাবাস এবং কার্লোস কুয়াদ্রত থাকলেও লাল হলুদ কর্তাদের প্রথম পছন্দ লোবেরা।

আরও পড়ুন – একমাত্র পাকিস্তানি হিসেবে খেলবেন আইপিএলে! কোহলির রেকর্ড ভাঙা ক্রিকেটারকে চেনেন?

এর প্রথম কারণ দুর্দান্ত খেলার স্টাইল এবং দ্বিতীয় কারণ শক্তিশালী দল না থাকলেও দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। অতীতে মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। তাই তার আর্থিক চাহিদা বাকিদের থেকে বেশি হলেও লোবেরাই ইস্টবেঙ্গলের তালিকায় এক নম্বরে। তরুণ ফুটবলারদের তৈরি করে নিতে জানেন।

শক্তিশালী দল তৈরির চেষ্টা করলেও বাজারে এই মুহূর্তে খুব বেশি ভাল মানের ভারতীয় ফুটবলার পড়ে আছে এমন নয়। তাই কোচ এবং বিদেশির ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তাই আগামী কয়েকটা দিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং কর্তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমর্থকরা তিন বছর ধরে সহ্য করেছেন। এবার অনেক সময় পেয়েছেন তারা।

এবার ব্যর্থ হলে আর অজুহাত দেওয়ার জায়গা থাকবে না। তবে লোবেরা কোচ হলে বেশ কিছু ভাল বিদেশি নিয়ে আসতে পারেন তিনি। তবে সেক্ষেত্রে বাজেট একটা বিষয় অবশ্যই হতে পারে। অন্যদিকে হাবাস অনেকদিন কোচিং করছেন না। তার বয়স বেড়ে গিয়েছে। তিনি তালিকায় দ্বিতীয় পছন্দ। আর সুনীল ছেত্রীদের প্রাক্তন ম্যানেজার কার্লোস রাজি ভারতে ফিরতে। তার আর্থিক চাহিদা বাকিদের তুলনায় কম। তিনিও বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অতীতে।

East Bengal: গম্বাউ সম্ভবত বাদ, ইস্টবেঙ্গলের কোচের দৌড়ে হাবাস এবং এক জার্মান ম্যানেজার

কলকাতা: রগচটা স্প্যানিশ কোচ জোসেফ গম্বাউ ইস্টবেঙ্গল কোচ হওয়ার দৌড়ে প্রথম দিকে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও তাকে চাইছেন না ক্লাব কর্তারা। সেটা পরিষ্কার করে দেওয়ার পর অন্য ভাবনা ভাবতে হচ্ছে ইনভেস্টর ইমামিকে। ক্লাব কর্তাদের প্রথম পছন্দ হাবাস। শোনা যাচ্ছে চেন্নাই এর জার্মান কোচ থমাস বাদারিকের নামও। লোবেরা নিজে রাজি নন কোচ হতে।

দল গঠনের কথা মাথায় রেখে দ্রুত নয়া কোচ বেছে নিতে চাইছে ম্যানেজমেন্ট। হাবাস এই মুহূর্তে খালি আছেন। বাদারিক লাল হলুদের প্রস্তাবে চেন্নাই ছেড়ে আসবেন কিনা সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। নতুন মরশুমের রোড ম্যাপ ঠিক করতে শনিবার ক্লাব তাঁবুতে বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কর্তারা।

আরও পড়ুন – শুভমনের কাছে জায়গা হারিয়ে অনুতপ্ত নন শিখর, নিজেই বললেন সঠিক সিদ্ধান্ত নির্বাচকদের

প্রায় তিন ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক শেষে দু’পক্ষকেই বেশ খোশমেজাজে দেখা গেল। জানা গিয়েছে, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই, অর্থাৎ নববর্ষের আগেই ঘোষণা করা হবে নতুন কোচের নাম। বৈঠকে ইমামির পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন সন্দীপ আগরওয়াল ও দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। শুরুতে ক্লাবের নবনির্মিত মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি ঘুরে দেখেন তাঁরা। তারপর শুরু হয় আলোচনা।

দীর্ঘ বৈঠকে সম্ভাব্য কোচদের তালিকা তৈরি করা হয়। তার মধ্যে থেকেই একজনকে চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি আগামী মরশুমের দল গঠন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে ইমামি কর্তা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কর্ম সমিতির বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনায় রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেই মতো আগামী দিনে আমরা ভাল ফুটবলার ও কোচ নিয়োগের জন্য ঝাঁপাব।

তবে দল গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের একটা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। অধিকাংশ ভারতীয় ফুটবলারই দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিবদ্ধ। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না। প্রয়োজনে ট্রান্সফার ফি দিয়ে ফুটবলারদের সই করানো হবে। সেটা ক্লাবের জন্য অভিপ্রেত না হলেও ভালো ফুটবলার হলে অবশ্যই পিছপা হব না।

অতীতে বিনিয়োগকারী সংস্থাদের সঙ্গে লাল-হলুদ কর্তাদের দূরত্ব দেখা গিয়েছে। তবে এদিনের বৈঠকে সেই সব বিষয় উড়িয়ে দিলেন ইমামি কর্তা। তাঁর দাবি, এখানে ক্লাব বা ইমামি বলে কোনও ভেদাভেদ নেই। আমরা সকলেই একটা দল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ওজন আমরা জানি। আমরা সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ব সাফল্যের জন্য। চ্যাম্পিয়ন হব কিনা বলতে পারছি না। তবে একটা দেখার মত ফুটবল দল তৈরি হবে এই আশ্বাস দিতে পারি।

ফুটবলারকে চড় মারা কোচকে দায়িত্ব দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর সংস্থা, অখুশি সমর্থকরা

কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলের বাজেট বাড়ানো হবে দুদিন আগে মিটিংয়ে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইনভেস্টার সংস্থা ইমামি। সমর্থকদের দাবি ছিল এটিকে মোহনবাগানের মতো বাজেট করতে হবে। আজ শনিবার আবার একটা মিটিং হওয়ার কথা। সুপার কাপের পরই স্টিফেন কনস্টানস্টাইনের বিদায় নিশ্চিত। ব্রিটিশ কোচের উত্তরসূরি কে হবেন? সেটাই এখন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রধান প্রশ্ন।

 কোচ হিসেবে জোসেফ গোমবাউকেই প্রথম পছন্দ লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির। তার প্রধান কারণ কম বাজেট। এই স্প্যানিশ কোচের হাতে এখন কাজ নেই। তাই কম অর্থেই তিনি কোচ হতে রাজি হয়েছেন। শুধু ব্যর্থতাই নয়, বারবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন স্প্যানিশ প্রশিক্ষক জোসেফ গোমবাউ। ২০১৮-২০ এবং ২০২২-২৩ দু’দফায় ওড়িশা এফসির প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন – Shakib: মহৎ কাজ সাকিবের! ক্যানসার ফাউন্ডেশন তৈরির ঘোষণা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের

এই পর্বে ক্লাবটির সাফল্যের ভাঁড়ার শূন্য। এছাড়া ৪৬ বছর বয়সি এই কোচের উপর একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও উঠেছে। সদ্যসামাপ্ত আইএসএলে ভারতীয় প্লেয়ার আইজ্যাককে চড় মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। ফুটবলারদের সঙ্গে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ব্যবহার করেন তিনি। তার জেরেই মরশুমের শেষেই তাঁকে তড়িঘড়ি ছাঁটাই করেছে ওড়িশা এফসি।

বিশেষজ্ঞদের মত, এই সস্তার কোচ ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ফেরাতে পারবেন না। শক্তিশালী দল গড়তে হলে ভাল প্রশিক্ষকের প্রয়োজন, এই সহজ কথাটা লগ্নিকারী সংস্থাকে বুঝতে হবে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা অবশ্য সের্গিও লোবেরা, আন্তোনিও হাবাস, টামাস ব্রাডরিচের মানের কোচ চাইছিলেন।

পছন্দের কোচের তালিকাও লগ্নিকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছিলেন। এদিকে, জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গোমবাউ কলকাতায় পৌঁছেছেন। লগ্নিকারী সংস্থার অফিসের কাছকাছি এক হোটেলে উঠেছেন তিনি। তাকে সম্ভবত ২ বছরের চুক্তি অফার করা হবে। জোসেফ রাজি হলে ওড়িশা থেকে নন্দকুমার, জেরি, নরেন্দ্র গেহলটদের নিয়ে আসতে পারেন তিনি।

ইস্টবেঙ্গলের নতুন ব্রিটিশ স্ট্রাইকারের প্রশংসায় নায়ক ক্লেটন! স্টিফেনের লক্ষ্য সব ম্যাচ জয়

#কলকাতা: এই ইস্টবেঙ্গল দলটার একমাত্র আশার আলো বলতে তিনি। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা যতই খারাপ হোক, ক্লেটন সিলভা দশটা গোল করে ফেলেছেন। এটাই বা কম কিসের? অবশেষে জয়ে ফেরা। স্বাভাবিকভাবেই কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের চোখেমুখে স্বস্তির ঝলক। আর তাই প্রথমবার তাঁকে ফুটবলারদের কোয়ালিটি নিয়ে অভিযোগ করতে শোনা গেল না, বরং ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়।

তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের কী পরিস্থিতি ছিল, তা সবারই জানা। আমাদের নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তবে ছেলেরা প্রতিনিয়ত কঠিন পরিশ্রম করেছে। তার ফলও মিলল হাতেনাতে। কেরলের বিরুদ্ধে গোটা ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছি। এরকম লড়াকু মানসিকতাই তো ফুটবলারদের থেকে চেয়েছিলাম। মরশুমের শুরু থেকে প্রায় একার কাঁধে ইস্টবেঙ্গল আপফ্রন্টকে টানছেন ক্লেটন সিলভা।

আরও পড়ুন – সপ্তাহে ১০ বার যৌন মিলন! ঘানার তারকা ফুটবলারের স্ত্রীর শারীরিক চাহিদায় শেষ হয়ে গিয়েছিল ক্যারিয়ার

তাঁর পারফরম্যান্স অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কেরলের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জিতিয়ে ৩৬তম জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। ফেরালেন লাল-হলুদ জনতার মুখে হাসি। এই সাফল্যের জন্য ইস্টবেঙ্গলের নতুন রিক্রুট জ্যাক জার্ভিসকে কৃতিত্ব দিলেন ক্লেটন। তাঁর কথায়, জ্যাক যোগ দেওয়ায় আক্রমণে ধার বেড়েছে। ও লম্বা, শক্তিশালী।

বুদ্ধিমানও বটে। ও ডিফেন্ডারদের বিব্রত করায় আমি ফাঁকা জায়গা পেয়েছি। এদিকে, শুক্রবার শুরুতে তুলে নেওয়ায় কোচের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন অঙ্কিত মুখ্যার্জি। ডাগ-আউটে জার্সি ছুড়ে ফেলেন তিনি। কার প্রশ্রয়ে তাঁর এমন আচরণ? অল্প কয়েকদিন খেলেই এতটা ঔদ্ধত্য দেখানোর সাহস তিনি কীভাবে পেলেন? প্রশ্ন উঠছে সমর্থকমহলে।

এই প্রসঙ্গে স্টিফেনের মন্তব্য, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ও এমন আচরণ করল। ক্লাব নিশ্চয়ই অঙ্কিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। মনে হয় না, ইস্টবেঙ্গলে ওর ভবিষ্যৎ রয়েছে।যদিও নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অঙ্কিত। তবে অনেক প্রাক্তন বাঙালি ফুটবলার জ্যাকের প্রথম ম্যাচের পারফরমেন্স দেখে খুশি হতে পারেননি। সম্পূর্ণ ফিট মনে হয়নি ব্রিটিশ স্ট্রাইকারকে। কিন্তু সিলভা বলছেন যত সময় যাবে জ্যাক মানিয়ে নেবে দলের সঙ্গে।

ATK Mohun Bagan : মোহনবাগান ফেভারিট নয়, ডার্বিতে ফুটবলারদের বিন্দাস থাকতে বললেন কোচ হুয়ান

#কলকাতা: রাজস্থানের বিরুদ্ধে হার এবং তারপর মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ড্র। মোহনবাগান সমর্থকরা প্রচন্ড বিরক্ত দলের গোল মিস এবং গোল হজম নিয়ে। খাতায় কলমে শক্তিশালী হলেও প্রথম দুটো ম্যাচে সেই প্রমাণ রাখতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপে কোনও ম্যাচ না জিতেই ডার্বি খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান।

তাতেও দল বেশ ফুরফুরে। শনিবার রুদ্ধদ্বার অনুশীলনে সাধারণ জিনিসগুলির উপরেই জোর দিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ডুরান্ডে প্রচুর গোল নষ্ট করছে তাঁর দল, যার খেসারত দিতে হয়েছে। তাই ডার্বির দিন বক্সে যাতে কোনও ভুল না হয়, সেটাই বার বার করে বোঝাচ্ছেন লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহদের। লাল-হলুদের বিরুদ্ধে শেষ ছ’বার সাক্ষাতে পাঁচ বার জিতেছে এটিকে মোহনবাগান।

আরও পড়ুন – Rohit Sharma : এবার বিয়ে করে নাও ভাই, পাকিস্তানের বাবরকে পরামর্শ রোহিত শর্মার

শেষ পাঁচ ম্যাচেই ‌এসেছে জয়। ফলে রবিবার যুবভারতীতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারলে ডার্বিতে টানা আধ ডজন জয়ের রেকর্ড করে ফেলবে সবুজ-মেরুন। আড়াই বছর বাদে কলকাতায় ডার্বি ফেরার পর তা সমর্থকদের কাছে দুর্দান্ত একটা উপহার হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

ফেরান্দো বলেছেন, ডার্বি নিয়ে আমার বা দলের কোনও চাপ নেই। শেষ দুটো ম্যাচে জিততে পারিনি বলে হতাশ লাগলেও চিন্তিত নই। কারণ গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিততেও পারতাম। খারাপ খেললে বা গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলে চাপ থাকত। কিন্তু আমরা সুযোগ অসংখ্য তৈরি করছি। এটাই পজিটিভ দিক।

জনি কাউকো বলেই দিয়েছেন, ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম্যাচই তিনি দেখেননি। বলেছেন, ওদের নিয়ে ভাবার কোনও কারণ নেই। কোনও ম্যাচও দেখিনি। কোচ আছেন আমাদের সাহায্য করার জন্য। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্যে তৈরি। দীর্ঘ দিন ধরে ডার্বি খেলছেন প্রীতম কোটাল।

তিনি বলেছেন, বাংলার ছেলে হিসাবে এ ধরনের ম্যাচ খেলা আলাদা আবেগের। সমর্থকদেরও একই আবেগ রয়েছে। ওঁরা যাতে ম্যাচের পর হাসিমুখে আনন্দ করতে করতে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই চেষ্টাই করব। দলের অন্যতম ভরসা লিস্টন কোলাসো এর আগে বড় ম্যাচে গোল করেছেন। তবে সেটা ছিল গোয়াতে। রবিবার আবার লাল হলুদের জালে বল পাঠিয়ে নায়কের সম্মানে বাড়ি ফিরতে চান মোহনবাগানের গোয়ান তারকা।