‘বাবার আমাকে বিগড়েছে’! প্রাসাদোপম বাড়ি ‘জেলখানা’! কেন এমন বললেন তারকা পুত্র অধ্যয়ন?

Adhyayan Suman: নিজের প্রাসাদোপম বাড়ি ‘জেলখানা’ মনে হত! কেন এমন বললেন তারকা পুত্র অধ্যয়ন?

২০০৮ সালে ‘রাজ ২’-এর হাত ধরে বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন শেখর সুমনের পুত্র অধ্যয়ন সুমন। এরপরে তিনি অভিনয় করেছেন ‘জশন’ ছবিতে। যা বক্স অফিসে দারুণ হিট বলে প্রমাণিত হয়েছিল। ডেবিউয়ের পরেই একের পর এক ছবিতে সাফল্য পেলেও তাঁর কেরিয়ার একটা সময়ে ভরাডুবির মুখে পড়েছিল। কয়েকটি প্রজেক্টে সাইন করলেও তা আর কার্যকর হয়নি।

একটি সাম্প্রতিক ইন্টারভিউয়ে অধ্যয়ন হাতে কোনও কাজ না থাকার কথা ভাগ করে নেন। সেই সময় কীভাবে তাঁর বাবা শেখর সুমন এবং মা অলকা সুমন তাঁকে সাহায্য করেছিলেন, সেই কথাও জানিয়েছেন অধ্যয়ন। নিজের বাবার বিষয়েও কিছু তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা এবং জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবা খুবই আবেগপ্রবণ প্রকৃতির মানুষ। খোলা মনে বাড়িতে কথাও বলেন না।

আরও পড়ুন: এই অভিনেতা একবার ‘হ‍্যাঁ’ বললেই অমিতাভের হাতছাড়া হত ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’! জানেন কে ছিলেন প্রথম পছন্দ?

সংবাদমাধ্যমের কাছে অধ্যয়ন সুমন বলেন, “এটা একটা লম্বা সফর। একটা সময় ছিল, যখন আমার ক্লান্তি বোধ হত। যখন আমি হাল ছেড়ে দিতে চাইতাম, আবার যখন চারদিকটা নিকষ কালো অন্ধকার হয়ে আসত, সেই সময় খুবই ক্লান্ত লাগত। ‘হিরামান্ডি’-র রূপে যখন আমি আলো দেখলাম, যা আমার কাছে এনেছিলেন মিস্টার বনশালি। তাই তিনিই আমার জীবনের আলো।”

অধ্যয়ন আরও জানান যে, “আমি অতীতের দিকে আর ফিরেও তাকাতে চাই না। কিন্তু আমাকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমার মা খুবই আবেগপ্রবণ। আর বাবাও বেশ আবেগপ্রবণ। উনি আবার নিজের অনুভূতি খোলাখুলি ভাগ করে নিতেও পারেন না। বহু সময় তাঁর ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে আমার বিষয়ে তাঁর চিন্তাধারা আমি জানতে পেরেছি। বাড়িতেও তিনি খোলামেলা ভাবে কথা বলেন না।

এখানেই শেষ নয়, তাঁর বিগড়ে যাওয়ার পিছনে যে বাবার হাত রয়েছে, সেই বিষয়েও জানালেন অধ্যয়ন।” যখন কাজের কোনও অফারই আসছিল না, সেই সময় একটি চারতলার বিলাসবহুল পেন্টহাউজে রীতিমতো বন্দিজীবন কাটানোর অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন শেখর-পুত্র। অধ্যয়নের কথায়, “আমি বরাবরই লক্ষ্যে স্থির। বিগত প্রায় আট বছর ধরে আমি বিলাসবহুল জীবনযাপন করেছি। কিন্তু আমিই জানি, আমার মনে কী চলত!

এমনকী একটা চারতলার পেন্টহাউজও বিলাসবহুল ‘জেল’ বলে মনে হত। আমার মনে হত, আমি তো এখানে থাকতে চাই না। মনে হত আমাকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমি বেরোতে চাইতাম এবং নিজের জন্য একটা ছাপ তৈরি করতে চাই। কাজ করার জন্য বেরোতে চাইতাম। আমার মা-বাবাকে গর্বিত করার চেষ্টা করতাম। এমনকী সাফল্য অনুভব করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু সেটা হচ্ছিল না। যা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল।”