ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে এমন কয়েকজন তারকা রয়েছেন, যাঁরা অভিনয় চালিয়ে যাওয়ার জন্য পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আলিয়া ভাট, আমির খান, দীপিকা পাড়ুকোন এবং অক্ষয় কুমারের মতো অভিনেতারা তাঁদেরই একজন। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। এক তরুণ অভিনেতা পড়াশোনা ছেড়ে সিনেমাায় কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে পা রাখেন বলিউডে। প্রথম ছবিতেই তিনি সাফল্য অর্জন করেন। এবং অনেক বড় তারকার সঙ্গে কাজ করেন।যে অভিনেতাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তিনি বলিউডে নবাগত। উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় ১৯৯৩ সালে জন্ম নেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মুম্বই আসেন।বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি স্কুলের পরে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু মিঠিবাই কলেজে ভর্তি হওয়ার সঙ্গেই থিয়েটারের প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়ে। এবং তিনি মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। যাঁর কথা হচ্ছে, তিনি সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী।ফ্রেশ ফেস প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পর সিদ্ধান্ত তাঁর শেষ সিএ পরীক্ষা ছেড়ে বলিউডে প্রবেশের জন্য অডিশন দেওয়া শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি ওয়েব সিরিজ লাইফ সহি হ্যায় এবং ২০১৭-এ ইনসাইড এজ-এ কাজ করেছিলেন। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু অভিনেতা সবসময় নিজেকে বড় পর্দায় দেখতে চেয়েছিলেন।এক সাকসেস পার্টিতে জোয়া আখতার যখন তাঁকে দেখেন, তখন সিদ্ধান্তের জীবন বদলে যায়। জোয়া তাঁকে রণবীর সিং এবং আলিয়া ভাট-অভিনীত ‘গলি বয়’-এর জন্য অডিশন দিতে বলেছিলেন, তিনি ছবিতে এমসি শেরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এবং তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিল।২০২১ সালে বান্টি অর বাবলি ২-এ কাজ করেছিলেন সিদ্ধান্ত। তবে ছবিটি বক্স অফিসে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি। তার পরের বছরই দীপিকার বিপরীতে ‘গেহরাইয়াঁ’ ছবিতে কাজ করেন তিনি।খো গয়ে হম কাহা ছবিতেও তাঁর অভিনয় দর্শক-মনে ছাপ ফেলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত নায়ক বা ছবির মুখ্য চরিত্র হিসাবে একটিও হিট ছবি তিনি দেননি।
