: রূপের খনি, বলিউডে তাঁর রূপে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল তিনি হয়েছিলেন ‘মিস ইন্ডিয়া’ , তবে এই চেনা ক্ষেত্র ছাড়াও জানেন কি একেবারে অন্য ধরনের ক্ষেত্রে তিনি সেরা ছিলেন? তিনি জাতীয় স্তরের সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন। তিনি তাঁর সৌন্দর্য্যের জন্য বলিউডে ব্রেক পেয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালের ‘জুনুন’ ছবিতে শশী কাপুরের সঙ্গে প্রথমবার বলিউডে তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবে পাওয়া যায়। (Photo Courtsey- Instagram@nafisaalisodhi)ইনি হলেন নাফিসা আলি, যাঁর জীবনে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘জুনুন’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Femina.in-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ছবির শ্যুটিংয়ের সময় তিনি তাঁর স্বামী আরএস সোধির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল৷ যিনি একজন পোলো খেলোয়াড় এবং একজন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্নেল। (Photo Courtsey- Instagram@nafisaalisodhi)নাফিসা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘‘ জুনুন সিনেমায় দেখানো যুদ্ধের সিনটি তাঁর স্বামীর রেজিমেন্টে শ্যুট করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি সেখানে উপস্থিত সমস্ত অফিসারদের চিনতাম। সেখানে তিনিই ছিলেন একমাত্র ব্যাচেলর। যখন তিনি কলকাতায় ঘোড়ার প্রদর্শনী এবং পোলো ম্যাচের জন্য আসতেন তখন আমি তাঁর সম্পর্কে জানতে পারি। আমি যখন ‘জুনুন’-এর প্রিমিয়ারের জন্য দিল্লি পৌঁছলাম, তিনি আমাকে ঘোড়া নিয়ে মুগ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। আমি ঘোড়া ভালোবাসি, তাই পুরো রোম্যান্স তাদের চারপাশে ঘোরা।’’ (Photo Courtsey- Instagram@nafisaalisodhi)নাফিসা এবং তারঁ স্বামীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ছিল৷ তাঁর স্বামী তাঁর থেকে ১৪ বছরের পার্থক্য ছিল৷ এছাড়ও তাঁদের ধর্মও আলাদা ছিল৷ আরএস সোধি ছিলেন একজন শিখ এবং নাফিসা আলি একজন মুসলিম। তারা দুজনেই পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কলকাতায় বিয়ে করেছিলেন, তারপরে তাঁরা দিল্লিতে মহারানি গায়ত্রী দেবীর বাড়িতে শিখ রীতি অনুসারে বিয়ে করেছিলেন। (Photo Courtsey- Instagram@nafisaalisodhi)১৯৯৮ সালে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘মেজর সাহেব’ ছবিতে কাজ করেন নাফিসা। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন জুটি হিট ছিল৷ যাঁর সঙ্গে তিনি ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ এবং ‘ইয়মলা পাগলা দিওয়ানা’ এর মতো হিট সিনেমায় কাজ করেছিলেন। (Photo Courtsey- Instagram@nafisaalisodhi)নাফিসা আলি যে রকম সুন্দরী তাঁর বলিউড কেরিয়ার সেই তুলনায় খুব বেশি দুর্দান্ত নয়৷ তাঁর ফ্লপ অভিনয় কেরিয়ারের পর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০০৪ সালে দক্ষিণ কলকাতা থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু এখানেও তিনি ব্যর্থ হন। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট সঞ্জয় দত্তকে অযোগ্য ঘোষণা করার পরে, নাফিসা আলি লখনউ থেকে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনেও লড়াই করেছিলেন। (Photo Courtsey- Instagram@nafisaalisodhi)২০১৮তে নাফিসা আলি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন৷ বর্তমানে তিনি সমাজের উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয়। ২০২১ সালে ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি’ সঙ্গে যুক্ত হন। (Photo Courtsey- Instagram@nafisaalisodhi)
