শাহরুখ খান, আমির খান বা সলমান খান নয়, এই অভিনেতা ছিলেন খানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় তারকা। মজার ব্যাপার হল তাঁর একটি ছবি বিশ্বব্যাপী ১.৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।কয়েক দশক ধরে বলিউডে খানদের শাসন চলছে। শাহরুখ খান, সলমান খান, এবং আমির খানের সিনেমাগুলি সর্বদা বক্স অফিসের রেকর্ড ভাঙা এবং সেট করে। দঙ্গল, বজরঙ্গি ভাইজান, পাঠান এবং জওয়ানের মতো সিনেমাগুলি সর্বকালের ব্লকবাস্টার।তবে, এঁরা কেউ নয়, খানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় তারকা ইরফান খান। তিনিই সবচেয়ে বড় খান, এবং মাত্র একটি চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। তিনি ভারতের অভিনেতাদের মধ্যে একজন, যিনি হলিউডেও তারকা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। তিনি বলিউডের অন্যতম প্রশংসিত তারকা ছিলেন।প্রয়াত ইরফান খান, মকবুল, দ্য লাঞ্চবক্স, লাইফ ইন এ… মেট্রো-তে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়, শুধুমাত্র বলিউডেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। কিন্তু তিনি হলিউডের একজন প্রশংসিত শিল্পীও ছিলেন, দ্য নেমসেক, স্লামডগ মিলিয়নেয়ার, দ্য অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান এবং আরও অনেকগুলি ইংরেজি ব্লকবাস্টারগুলিতে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।২০১৫ সালে, ইরফানকে জুরাসিক ওয়ার্ল্ডে একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। ছবিটি ছিল জুরাসিক পার্ক সিরিজের চতুর্থ সিনেমা, এবং ইরফান পার্কের মালিক সাইমন মাসরানির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ২০১৫ সালের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টারগুলির মধ্যে ছিল, বিশ্বব্যাপী $1.671 বিলিয়ন আয় করেছে। ৩ খানের মধ্যে, সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র হল আমির খানের দঙ্গল, যেটি 2,024 কোটি রুপি (US$340 মিলিয়ন) আয় করেছে। এই রেকর্ডেও ভেঙে দেন এই সুপারস্টারদের মধ্যে ইরফান খান ছিলেন সবচেয়ে বড় খান।জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের প্রচার করার সময়, ইরফান একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে স্টিভেন স্পাইলবার্গের ব্লকবাস্টার দেখার জন্য তাঁর কাছে টাকা ছিল না। হলিউড রিপোর্টারের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে, অভিনেতা উল্লেখ করেন ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত জুরাসিক পার্ক দেখার জন্য তাঁর কাছে টাকা ছিল না।তিনি বলেছিলেন, “আমি পার্কের মালিকের চরিত্রে অভিনয় করছি। যখন প্রথম জুরাসিক পার্ক বের হয়েছিল, তখন আমার কাছে এটি দেখার মতো টাকা ছিল না এবং এখন আমি একটি অভিনয় করছি।”
