Bollywood Gossip: ‘মা বলেছিলেন প্রেমিক নয় তোমার বাবা হওয়ার কথা’ ২৮ বছরের ছোট প্রেমিকা, ১৭ বছরে ঘর ছাঁড়েন এই গায়কের প্রেমে, তারপর বছরের পর বছর লিভ ইন
: দেদার প্রেম৷ প্রেমিক প্রেমিকার থেকে বয়সে ২৮ বছরের বড়৷ কিন্তু মানেননি শাসন -বারণ৷ প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা কল্পনা লাজমির বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর যখন তিনি বিখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকার সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলেন। এরপর আর মাত্র ২ বছর সময় নেন তিনি৷ ১৯ বছর বয়সে, তিনি ভূপেন হাজারিকার জন্য কলকাতায় চলে আসতে তৈরি হয়ে যান৷ Photo- Representativeএ এক বাঁধন ছাড়া প্রেমের কাহিনি৷ যা বলতে গিয়ে কল্পনা লাজমির মা ললিতা জানিয়েছেন এই প্রেম যে হতে পারে তা বিশ্বাস করতেই তাঁদের অনেক সময় লেগে গিয়েছিল৷ তিনি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান কীভাবে কল্পনা এবং ভূপেনের প্রথম দেখা হয়েছিল। “ভূপেনদা মুম্বই এসেছিলেন এবং আত্মজীর বাড়িতে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। সেখানেই কল্পনার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়।সেই সন্ধ্যার পর তাঁর মেয়ের পথ চলা চিরতরে বদলে গেল। সে সময়ে কল্পনা লাজমির বয়স ছিল ১৭ এবং ভূপেন হাজারিকার বয়স ৪৫। কল্পনা লাজমির মা জানিয়েছেন, ‘আমি ভূপেনদার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা জানতাম না।’যাইহোক, তার মা, প্রবীণ শিল্পী ললিতা লাজমি এই ধারণাটিকে সমর্থন করেননি। একটি নতুন সাক্ষাত্কারে, ললিতা একটি মদ্যপ পিতার সাথে কল্পনার শৈশব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কথা বলেছেন এবং এটি কীভাবে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে তার ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে।পিঙ্কভিলার সাথে কথা বলার সময়, তিনি আরও জানিয়েছেন কীভাবে ভূপেন হাজারিকার প্রেমে হাবুডুবু কিশোরী কল্পনা লাজমি৷ তিনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে শহরতলিতে যেতেন৷আক্ষেপ করে কল্পনা লাজমির মা জানিয়েছিলেন, ‘‘বাবা-মা হিসেবে আমরা তাঁকে সব স্বাধীনতা দিয়েছি। অবশেষে যখন আমি তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পারলাম, তখন কল্পনা জোর দিয়েছিল যে তাঁরা শুধু ভাল বন্ধু ছিল,” সে বলল। তবে বন্ধুত্বের আড়ালে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা বলত কল্পনা।কল্পনা এরপর পরিবারের কাছে ঘোষণা করেন যে তিনি একটি তথ্যচিত্রে কাজ করার জন্য কলকাতায় যাচ্ছেন। তার খুড়তুতো ভাই তাঁর সঙ্গে ছিল। কিন্তু সেই ভাই কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসেন। পরিবার তখন বুঝতে পারে যে চলে গেছে কারণ তাঁর আলমারি ফাঁকা করে চলে গিয়েছিল৷ললিতা এবং তার স্বামী, ক্যাপ্টেন গোপী লাজমি, নিজের মেয়ের সঙ্গে ভূপেন হাজারিকার লিভ-ইন-এ বিরক্ত ছিলেন৷ তাঁদের সবচেয়ে বেশি নাড়িয়ে দিয়েছিল বয়সের বিশাল পার্থক্য৷কল্পনা লাজমির বাবা মুখে খুব বেশি কোনও কথা বলেননি৷ ললিতা লাজমি তখন ফোর্ট কনভেন্টে আর্ট পড়াতেন। ছুটি শুরু হওয়ার পর তিনি কলকাতায় গিয়ে মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেন৷তাঁর মন খারাপের প্রধান কারণ ছিল তাঁর মেয়ে কল্পনার সঙ্গে ভারতের বিখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকার বয়সের পার্থক্য৷ ললিতা বলেছিলেন, ‘‘আমার মন খারাপ। ও মাত্র ১৯ বছর বয়সী ছিলেন। ভূপেনদা তাঁর বাবা হওয়ার জন্য উপযুক্ত ছিলেন৷ ’’তবে সকলকে অগ্রাহ্য করে এই জুটি পুরো জীবন লিভ ইন রিলেশনশিপেই ছিলেন৷ ছেড়ে যাননি কোনও পরিস্থিতিতেই , কোনও সমালোচনা, কোনও গসিপের কাছেই নতি স্বীকার করেননি৷কল্পনা লাজমির বাবার সঙ্গে নিজের লিভইন পার্টনারকে রিলেট করতেন বলেই বিশ্বাস করতেন তাঁর মা৷ ভূপেন হাজারিকারও মদ্যপানের অভ্যাস ছিল, ঠিক যেরকম অভ্যাস ছিল তাঁর বাবারও৷ আর এই মিলই তাঁকে একটি অসম বয়সী প্রেমের সম্পর্ককে টেনে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল৷এমনকি ভূপেন হাজারিকার জুতোও বেঁধে দিতেন কল্পনা লাজমি৷ তাঁর মায়ের সেটি খারাপ লাগায় তাঁর বক্তব্য ছিল ‘ও এটা করতে পারে না মা৷’২০১৮র নভেম্বরে মাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওরের পরে কল্পনা মারা যান। তাঁর পরিচালিত কয়েকটি বিখ্যাত বলিউড সিনেমা রুদালি, দামন এবং দারমিয়ান৷ যা প্রশংস মহলে সুখ্যাতি পেয়েছিল৷
