বিনোদন আরিয়ান বা সারা নন, বলিউডের সবচেয়ে ধনী স্টার কিডকে চেনেন? মোট সম্পত্তিতে সলমন, আমিরও তাঁর কাছে কিছু নন Gallery October 25, 2024 Bangla Digital Desk স্টার কিড বললে সবার আগে কাদের নাম মনে আসে? শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান, সইফ কন্যা সারা আলি খান বা জ্যাকি শ্রফের পুত্র টাইগার শ্রফ। এঁরাই এখন বলিউড মাতাচ্ছেন। একের পর এক ছবি করছেন। লাইফস্টাইলও সেরকম। চোখ ধাঁধানো। এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, সবচেয়ে ধনী স্টার কিড কে? চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, এঁদের মধ্যে থেকেই কেউ হবেন। কিন্তু না। তিনি স্টার কিড হলেও নিজের প্রতিভার জোরে দাঁড়িয়েছেন। বাবার খুঁটির জোরে নয়। বলিউডে তৈরি করেছেন নিজস্ব পরিচিতি। আজ তিনি ১০০০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। তিনি হৃতিক রোশন। অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক রাকেশ রোশনের পুত্র। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন হৃতিক। তারপর আরব সাগরে অনেক ঢেউ উঠেছে। হৃতিকের কেরিয়ারও কখনও উঠেছে, কখনও পড়েছে। কিন্তু দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে রয়েছে অসংখ্য হিট ছবির তালিকা। ২৪ বছর ধরে বলিউডে রাজত্ব করাটা মুখের কথা নয়। এর জন্য শুধু স্টার কিড হলে হয় না, নিজস্ব প্রতিভা লাগে। ২০১৩ সালে শুরু করেন নিজের কোম্পানি: ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস। HRX নামে নিজের ব্র্যান্ড চালু করলেন হৃতিক। ডিএনএ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, HRX মূলত ফিটনেস এবং জামাকাপড়ের ব্র্যান্ড। তবে জুতো, পোশাকআশাক থেকে শুরু করে তৎসংক্রান্ত গ্যাজেট এবং বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্টও বিক্রি করে। চারা গাছ থেকে ধীরে ধীরে মহীরুহতে পরিণত হয়েছে হৃতিকের কোম্পানি। HRX এখন হাজার কোটি টাকার ব্র্যান্ড। আর হৃতিক সেই ব্র্যান্ডের মালিক। আশ্চর্যের কথা হল, সলমন খানকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। মোট সম্পত্তির পরিমাণ দেখলে হৃতিক ভাইজানের চেয়েও ধনী। হৃতিকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ: বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃতিক রোশনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩১০০ কোটি টাকা। আর ভাইজানের? সলমন খানের নেটওয়ার্থ ২৯০০ কোটি টাকা। চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপারই বটে। এমনকী আমির খান, অক্ষয় কুমারও হৃতিকের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন এই নিরিখে। মি. পারফেকশনিস্ট আমির ১৮৬২ কোটি টাকার মালিক। আর অক্ষয় কুমারের ২৫০০ কোটির সম্পত্তি রয়েছে। তবে হৃতিক বলিউডের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা নন। সেই রেকর্ড শাহরুখ খানের দখলেই রয়েছে। জানা যায়, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭,৩০০ কোটি টাকা।