কলকাতা: নব্বইয়ের দশকের হিন্দি ছবির গানগুলি আজও জনপ্রিয়। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হল, একাধিক বলিউডি হিন্দি গানেই রয়েছে ডাবল মিনিং বা দ্বৈত অর্থ। আর এই গানগুলি শুনতে ভাল লাগলেও তা অন্যের সামনে শোনা কিংবা গাওয়া যায় না। এর মধ্যে আবার একটি দ্বৈত অর্থপূর্ণ গানকে কেন্দ্র করে তো তীব্র বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এমনকী সেই গানের সুর কিন্তু শোনা গিয়েছে সংসদেও। বলে রাখা ভাল যে, এই দ্বৈত অর্থপূর্ণ গানগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় আর সুপারহিটও বটে! ফলে আজ সেগুলি কিংবদন্তি হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন– বরফ পড়ছে না তাই মন খারাপ, আসব না অফিসে… মহিলা কর্মীর ছুটি মঞ্জুর করে ভাইরাল বস !
‘চড় গ্যয়া উপর রে, অটরিয়া পে লোটান কবুতর রে’
নব্বইয়ের দশকে যাঁদের জন্ম, তাঁরা তো কখনও না কখনও এই গান গুনগুন করেছেনই। সেটা অবশ্য ডাবল মিনিংয়ের কথা না জেনেই। তবে এই গানের জন্য বাড়ির বড়দের কাছে বকুনিও শুনতে হয়েছে তাঁদের। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দালাল’ ছবির গান ‘চড় গ্যয়া উপর রে, অটরিয়া পে লোটান কবুতর রে’ নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। এই গানের দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তী এবং আয়েশা জুলকাকে। অলকা ইয়াগনিক, বাপ্পি লাহিড়ী, ইলা অরুণ এবং কুমার শানুর গলায় রেকর্ড করা হয়েছে গানটি। যা লিখেছেন মায়া গোবিন্দ এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বাপ্পি লাহিড়ী।
আরও পড়ুন- মিলল কোটি টাকা ! এভাবেই ভাগ্য বদলাল বৃদ্ধ টোটো চালকের
‘চোলি কে পিছে ক্যয়া হ্যায়’:
‘খলনায়ক’ ছবির এই গানে মাধুরী দীক্ষিতকে দেখা গিয়েছিল। যা ভক্তদের বুকে এক সময় ঝড় তুলেছিল। জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও এই গানটি সর্বসমক্ষে গাওয়া যায় না। কারণ গানটির শব্দচয়ন সকলকে অপ্রস্তুতে ফেলতে পারে। গানটি গেয়েছিলেন অলকা ইয়াগনিক এবং ইলা অরুণ। জনপ্রিয় গীতিকার আনন্দ বক্সী রচনা করেছিলেন এই গান। আর তা কম্পোজ করেছিলেন লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল।
‘সরকাই লো খাটিয়া জাড়া লাগে’:
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় জুটি গোবিন্দা এবং করিশ্মা কাপুরকে দেখা গিয়েছিল এই গানে। আর এই গানের কথায় রয়েছে দ্বৈত অর্থ। সেখানে পর্দায় দুই তারকার রোম্যান্সই অনেক কিছু ইঙ্গিত করে। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাজা বাবু’ ছবির গান এটি। আজও বহু বিয়ের অনুষ্ঠানে এই গান বাজানো হয়। আর ‘রাজা বাবু’ ছবির এই গানটির বিতর্কিত শব্দচয়ন অবশ্য প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভক্তরা সেন্সর বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। পূর্ণিমা এবং কুমার শানুর কণ্ঠে এই গান রেকর্ড করা হয়েছিল। আর তা কম্পোজ করেছিলেন আনন্দ মিলিন্দ।
দিন কয়েক আগেই একটি চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন জাভেদ আখতার। এক ব্যক্তি তাঁর কাছে অভিযোগ করেন যে, আজকাল যে গানগুলি তৈরি হচ্ছে, সেগুলি তেমন ভাল নয়। এর জবাবে জনপ্রিয় গীতিকার বলেন, “আগেকার দিনেও দ্বৈত অর্থপূর্ণ গান রচনা হত। কিন্তু যে ৬-৭ জন মানুষ মিলে সেই গান তৈরি করতেন, সমস্যাটা তাঁরা নন। সমস্যাটা হল, কোটি কোটি মানুষ সেই গান পছন্দ করে এসেছে। অর্থাৎ এর দায়িত্ব কিন্তু কোটি কোটি শ্রোতার উপরেই বর্তায়।”