#দোহা: কয়েকদিন আগেও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। মনে হয়েছিল বিশ্বকাপের মাঝেই হয়তো দুঃসংবাদ আসতে পারে। কিন্তু সবার শুভ কামনায় পেলে রয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালের বিছানায় থাকা পেলেকে খুশির মুহূর্ত এনে দিতে পারতেন নেইমাররা। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান থেমে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। গতকাল মঙ্গলবার সেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা।
৩–০ ব্যবধানের ম্যাচে নিজে গোল করার পাশাপাশি হুলিয়ান আলভারেজকে দিয়ে গোল করিয়েছেন লিওনেল মেসি। নেইমাররা ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার পর মেসিদের ম্যাচটি কি পেলে দেখেছেন? গোলের উদ্যাপনে, ফাইনালে ওঠার আনন্দে মেসিরা যখন উড়ছিলেন, কী ভাবছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’?
গত ২৯ নভেম্বর থেকে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে আছেন পেলে। তাঁর সঙ্গে আছেন মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো। তিনবারের বিশ্বকাপজয়ীর মেয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে আর্জেন্টিনার খেলা শুরুর আগে মেসির মুখ দেখা যাচ্ছে। হাতের ওপর হাত রেখে খেলা দেখছেন বিছানায় শুয়ে থাকা পেলে।
?REI PELÉ. A filha de Pelé, Kelly Nascimento, publicou uma foto segurando a mão do pai. Os dois assistiam o jogo da Argentina na semifinal. Kelly usou uma figurinha de Messi, principal jogador da Argentina. pic.twitter.com/lLt6D0q2WI
— BT Mais (@belemtransito) December 13, 2022
হাতে তোলা ছবিটি পোস্ট করে ওপরে–নিচে মেসির দুটি অ্যানিমেটেড ছবিও জুড়ে দিয়েছেন কেলি। এবারের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে পেলেদের সঙ্গে একই লাইনে ঢুকে গেছেন আর্জেন্টাইন তরুণ হুলিয়ান আলভারেজ। মেসির সহায়তায় দ্বিতীয় গোল করার দিন তার বয়স ছিল ২২ বছর ৩১৬ দিন।
দুদিন আগেই ব্রাজিল ফুটবলের সভাপতি জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে এখন সমর্থন দিচ্ছে সমগ্র লাতিন আমেরিকা। ফুটবল সম্রাট পেলেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেসিকে দেখে মুগ্ধ। অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে চোখ থেকে।