নতুন দিল্লি: রাজেন্দ্র নগরে নামল বুলডোজার। বন্যায় কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট ভেঙে ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত এলাকা। অভিযোগ, নর্দমা আটকে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে একের পর এক কোচিং সেন্টার। শিকেয় উঠেছে নিকাশি ব্যবস্থা। বুলডোজার দিয়ে এবার সেই সব বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হল।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে যায় রাউ’জ স্টাডি সার্কেলের বেসমেন্ট। সেখানে আটকে পড়েছিলেন তানিয়া সোনি, শ্রেয়া যাদব ও নবীন ডালউইন নামের তিন পড়ুয়া। জলে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁদের। বেসমেন্ট সাধারণত পার্কিং এবং স্টোরেজের জন্যই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেখানেই ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হত বলে অভিযোগ উঠেছে কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল থেকে ওল্ড রাজেন্দ্র নগর এবং করোলবাগ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করে এমসিডি। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় ড্রেনের উপরে থাকা সিমেন্টের ব্লক। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে প্রথমেই ১৩টি আইএএস কোচিং সেন্টার সিল করে দেওয়া হয়। তারপর চালু হয় বুলডোজার অভিযান।
আরও পড়ুন: হাড় থেকে কিডনি, হাজার সমস্যার সমাধান, তবুও বারণ! কাদের খাওয়া উচিত নয় ভুট্টা? জেনে নিন
বেআইনি নির্মাণের ঘটনায় এমসিডি কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মেয়র। অন্য দিকে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ও সহকারি ইঞ্জিনিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। বারবার জানানো সত্ত্বেও ড্রেন বুজিয়ে নির্মাণের ঘটনায় এমসিডি উদাসীন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
তিন পড়ুয়ার মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। এদিন সকালে দিল্লি সরকারের ‘অপরাধমূলক অবহেলা’-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। বেআইনি নির্মাণ ভাঙাকে এমসিডি-র ‘দেখনদারি’ বলে অভিযোগ তাঁদের। বিক্ষোভরত এক ছাত্র বললেন, ‘‘এসবই দেখানদারি। আসল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।’’ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। অন্য দিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছে রাষ্ট্রীয় প্রবাসী মঞ্চ। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।