সন্দীপের কাছের লোক কারা?

CBI-RG Kar Case: সন্দীপ ঘোষের ‘ডানহাত’ কে? শেষমেশ ‘জেনেই’ ফেলল সিবিআই! খোঁজ মিলল ‘সিং’য়েরও, ভয়ঙ্কর অভিযোগ

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সন্দীপ ঘোষের দুই ঘনিষ্ঠ আরজি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহকারী সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংয়ের। হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছার বাসিন্দা এই দুই ব্যবসায়ী ছিল সন্দীপ ঘোষের যাবতীয় দুর্নীতির মিডলম্যান, এমনটাই মনে করছে CBI।

রবিবার দুজনের বাড়িতে ও সুমন হাজরার মেডিক্যাল শপে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি বাজেয়াপ্ত করে। সুমন হাজরা প্রথম থেকেই মেডিক্যাল পেশায় যুক্ত ছিলেন। আরজি করে সামগ্রী সরবরাহ করতেন, সেখান থেকেই সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বেড়ে ওঠে সুসম্পর্ক। ধীরে ধীরে সুমন হয়ে ওঠে সন্দীপের ডান হাত। সরাকারি ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেডিক্যাল সামগ্রী রিসাইকেলিং করে তা বাজারে বিক্রি করা, এমনকি সরকারি হাসপাতালে বিক্রিও করা হত।

আরও পড়ুন: শুধু সন্দীপ নয়, উঠে এল একের পর এক চমকে দেওয়া নাম! আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে বড় মোড়! কারা তারা?

যার একটি ভাগ কমিশন হিসাবে চলে যেত সন্দীপ ঘোষের পকেটে। ধীরে ধীরে সন্দীপ হয়ে ওঠে আরজি কর হাসপাতালের হর্তাকর্তা। হাসপাতালের বেড থেকে দ্রুত অস্ত্রোপচার সবই হত অর্থের বিনিময়। সিবিআই সূত্রে এমনই খবর। সাঁকরাইলের বাসিন্দা বিপ্লব সিং সুমনের এলাকার বাসিন্দা। বিপ্লবের বাবা ছিলেন মেডিকেল কলেজের সাধারণ কর্মী। ছোট থেকেই বিপ্লব ভাল ছবি আঁকত। পরবর্তী কালে ব্যানার পোস্টার লেখা, বাবার সোর্স লাগিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যানার পোস্টার লেখার কাজ শুরু করে। সেখান থেকেই সুমনের সঙ্গে ধীরে ধীরে শুরু করে মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহের কাজ।

সময়ের সঙ্গেসঙ্গে বিপ্লব হয়ে ওঠে বেতাজ বাদশা। একদিকে সুমন, অন্য দিকে বিপ্লব, সন্দীপ ঘোষের যাবতীয় দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়ায় দুজনের। মেডিক্যাল সামগ্রী থেকে মৃত দেহ বিক্রি, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কমিশনের ভিত্তিতে কাজ পাইয়ে দেওয়া, সবই করত বিপ্লব আর সুমন। সাইকেল চালিয়ে বাচ্চাদের আঁকার শিক্ষকের এখন বিলাসবাহুল বাড়ি ও একাধিক গাড়ি। একই রকম ভাবে আন্দুল রোডের ওপর ওষুধের দোকান। সেই দোকানের আড়ালেই চলত যাবতীয় দুর্নীতির কাজকর্ম। প্রথম দিকে দোকানে গেলেও পরবর্তী কালে কর্মীদের হাতেই দোকান ছেড়ে বিলাসবাহুল জীবনযাত্রা শুরু করে সাধারণ ব্যাংক কর্মীর ছেলে সুমন। এই মুহূর্তে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি মামলায় CBI-এর নজরে তারা দুজনই।