কলকাতা CBI Sandip Ghosh Arrest: ১৮ দিন সিজিওতে টানা তলব…! দুর্নীতি প্রশ্নে হোঁচটের পর হোঁচট…! ঠিক কী ভাবে CBI জালে সন্দীপ? চমকে দেবে ঘটনা পরম্পরা! Gallery September 4, 2024 Bangla Digital Desk গত ১৬ অগাস্ট সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ নোটিশ দেওয়ার পরেও না আসায় রাস্তা থেকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তুলে আনে সিবিআই। সোজা নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায় সিবিআই এর সিজিও দফতরে। এরপর শুরু হয় টানা জিজ্ঞাসাবাদ। পর পর ১৮ দিন সন্দীপ ঘোষকে তলব করে সিবিআই সিজিওতে সিবিআই দফতরের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে। আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হয় তাঁর। খুনের পর তাঁর কী পদক্ষেপ? বা প্রমান লোপাট নিয়েও দফায় দফায় চলে প্রশ্ন। রেকর্ড করা হয় বয়ান। এরই পাশাপাশি সন্দীপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই-এর অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ। কারণ দেবল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে টালায় একটি মামলা রুজু হয়। অন্যদিকে রাজ্য সরকারও সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে এই সন্দীপের বিরুদ্ধে। কিন্তু এরইমধ্যে হাইকোর্ট মামলাটি দিয়ে দেয় সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চকে। সোমবার অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ থেকে একটি ৪-৫ জনের দল যায় সিজিওতে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে। এরপরে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ সিজিওর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে গিয়ে বৈঠক করে অনুমতি নেয়। এরপর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সেই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ-এর অফিসাররা। সূত্রের খবর, আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বার বারই তাঁর উত্তরে অসঙ্গতি মেলে। তাঁর ঘনিষ্টদের নানাবিধ নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বারংবার হোঁচট খায় সন্দীপ। ২০২১ সালের টেন্ডার বেআইনি ভাবে পাইয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্নে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সন্দীপ। এরপর সিবিআই ২৮ অগাস্ট তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সন্দীপ ঘোষ ও তিন সংস্থা ( M/s ক্ষমা লাউহা, M/s এশান ক্যাফে, M/s মা তারা ট্রেডার্স নামে ) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দেবল ঘোষ। তাঁর অভিযোগে টালা থানায় মামলা হয়। এই প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের প্রশ্নের সামনে বার জবাব দিতে না পারায় ও সন্দীপ ঘোষের উত্তরে একাধিক অসংগতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ। সূত্রের খবর, শেষদিকে প্রশ্নোত্তর চলাকালীনই কার্যত ভেঙে পড়েন সন্দীপ। আর বাঁচার পথ নেই বুঝতে পেরেই সন্দীপ ক্রমশ ভেঙে পড়তে দেখা যায়। যেহেতু নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ তাই অফিসিয়াল গ্রেফতারির জন্য সন্দীপকে সিজিও থেকে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ নিয়ে বেরোয় নিজামের উদ্দেশ্যে। নিজামে পৌঁছনর পর সিবিআই অ্যান্টি করাপশন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে। রাতে কান্নায় ভেঙ্গে পরে সন্দীপ ঘোষ। রাতে কোনও কথা বলেননি সন্দীপ। শুধু কাঁদতে থাকেন নিজামে সিবিআই দফতরে। রাতে নিরাপত্তার স্বার্থে শিয়ালদহ বি আর সিং হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গিয়ে নিজামে মেডিকেল করানো হয় সন্দীপ ঘোষের। মেডিকেলের জন্য সন্দীপকে নিয়ে যাবে নাকি চিকিৎসকদের দল আসবে সেটা নিয়েও একপ্রস্থ বৈঠক চলে নিজামে। শেষ পর্যন্ত সন্দীপ-সহ গ্রেফতার মোট ৪ জনেরই মেডিকেল হয় নিজামেই।