রাজ্যের একাধিক নাট্যদলের অনুদান বন্ধ করল কেন্দ্র

Central Stopped Aid in Theatre: বড় ধাক্কা! রাজ্যের একাধিক নাট্যদলের অনুদান বন্ধ করল কেন্দ্র, সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক! মুখ খুললেন দেবেশ-পৌলমীরা

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফ থেকে বাংলা একাধিক নাট্যদলের কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হল৷ নাটকের প্রচার এবং প্রসারের স্বার্থে সাধারণত এই অনুদান দেওয়া হত৷ এবং ‘গুরু-শিষ্য’ পরম্পরায় দেওয়া হত এই অনুদান৷ পৌলমী চট্টোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নাট্য ব্যক্তিত্বদের নাটকের দলের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হল৷ ঠিক কী কারণে এমনটা করা হল তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফ থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই দলগুলি এখন অনেকটাই সাবলম্বী হয়ে গিয়েছে, তাদের থেকে এই অনুদান সরিয়ে নিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন কিংবা দুর্বল দলগুলিকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ বাংলার নাট্যদলগুলি৷ অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় ১০-১৫টি দলের অনুদান বন্ধ করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন-না বচ্চন, না খান! ‘এই’ পরিবারেরই পুত্রবধূ হতেন ঐশ্বর্য, কিন্তু…! ডিভোর্সের মাঝেই ফাঁস হল রাই সুন্দরীর হাড়হিম গোপন তথ্য!

কলকাতার প্রবীন নাট্যব্যক্তিত্বরা আজ প্রেস ক্লাবে একটি বৈঠক রেখেছেন৷ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তারা বিস্তারিত কারণ জানাবেন৷ পৌলমী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ‘তাঁর দলকে যে বলা হচ্ছে সাবলম্বী, কিন্তু তিনি এখনও বাড়ি ভাড়া করে রিহার্সাল করেন, কোন দিক থেকে এই যুক্তি দেওয়া হচ্ছে তিনি বুঝতে পারছেন না’৷ একই সুর দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়৷ তিনি বলেছেন, ‘এর মধ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে৷ সেন্ট্রাল কালচারাল মিনিস্ট্রিতে যে এক্সপার্ট কমিটি রয়েছে বাঙালি সেখানে কেউ নেই, সুতরাং বাংলার দলগুলির কেমন প্রচার, প্রসার, কাজ হচ্ছে তাদের জানার কথাই না৷ এটা রাজনৈতিক একটা প্রতিহিংসার শিকার তারা৷ বিজেপির তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, সেই ভিত্তিতেই অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র’৷

একাধিক নাট্যদলের অনুদান বন্ধ হতেই সরব হয়েছেন সুজন মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌমিত্র মিত্র, অর্পিতা ঘোষ, সুমন মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক নাট্যব্যক্তিত্বরা৷ প্রত্যেক্যেই আজ বৈঠকে উপস্থিত হবেন৷ অন্যদিকে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপির পক্ষ থেকে বলেছেন, ‘এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই৷ পুরোপুরি রাজনৈতিক রং মাখানোর চেষ্টা চলছে৷ কারণ যেই দলগুলি সাবলম্বী হয়ে গিয়েছে এবং যেই দলগুলি এখনও উঠে দাঁড়াতে পারছে না তাই জন্য তাঁদের থেকে অনুদান সরিয়ে নিয়ে দুর্বল দলগুলির প্রচার এবং প্রসারের স্বার্থে এই অনুদান দেওয়া হবে৷ এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই৷ তাঁদের যদি মনেও হয়ে থাকে তারা কোনও নির্দিষ্ট দলের হয়ে নাটক করে থাকেন তবে তাদেরকে অনুরোধ তারা যেন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাইরে বেরিয়ে নিরপেক্ষ নাটক করতে পারেন’৷ সুতরাং এভাবেই চলছে একের পর এক পাল্টা অভিযোগ৷ নাট্যব্যক্তিত্বরা বলেছেন, জমায়েত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ করবেন৷ এবং অর্পিতা ঘোষ বলেছেন, এর শেষে দেখে ছাড়বেন৷ শিল্পের উপর শাসকের কোপ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷