ট্রেন দুর্ঘটনা

Dibrugarh Express Accident: দুর্ঘটনার ঠিক আগেই শুনেছিলেন বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ, দাবি করেছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের চালক

নয়াদিল্লি: আরও একটা রেল দুর্ঘটনা। আর একের পর এক এহেন ঘটনাক জেরে রেলযাত্রা যেন রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছে! বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় লাইনচ্যুত হয়েছে চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি কোচ। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই ট্রেনের চালক এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঠিক আগেই তিনি তীব্র বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছিলেন। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন যে, ট্রেন দুর্ঘটনায় কোনও রকম বিস্ফোরণ হয়নি।
সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। তবে আহত বহু যাত্রীই। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মেডিক্যাল এবং এমার্জেন্সি টিম। সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই ট্রেনটির চালক আরও দাবি করেছেন, তিনি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছিলেন বলে এমার্জেন্সি ব্রেক চাপার কথা ভেবেছিলেন।

শুধু চালকই নন, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে থাকা এক যাত্রী বলেন যে, তিনিও দুর্ঘটনার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। তাঁর কথায়, আমার হাজীপুর যাওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার ঠিক আগেই একটা মৃদু বিস্ফোরণ হয়েছিল। এরপরেই জোর ঝাঁকুনি অনুভূত হয় এবং আমাদের কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। আমরা চণ্ডীগড় থেকে আসছিলাম।

ডিব্রুগড়গামী ১৫৯০৪ ট্রেনের অন্তত ৮টি কোচ বেলাইন হয়েছে মোতিগঞ্জ এবং ঝিলাহি রেল স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৪০ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম এবং ১৫টি অ্যাম্বুল্যান্স। তবে আরও মেডিক্যাল দল এবং অ্যাম্বুল্যান্সও পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন রিলিফ কমিশনার কুমার।

আরও পড়ুন: জানেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়লোক জেলা কোনটি? চমকে দেওয়া রিপোর্ট, নাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে

লখনউ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী এই স্থানে উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখতে পৌঁছেছেন রেল এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী পাঠক জানান, আহত যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়ে তাঁদের সেরা চিকিৎসা দেওয়াটাই এখন সকলের মূল লক্ষ্য।

এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, আহত যাত্রীরা যাতে সঠিক চিকিৎসা পান, সেটা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উচ্চস্তরের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর জখমদের পরিবারকেও ২.৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যাঁদের চোট ছোটখাটো তাঁরাও ৫০০০০ টাকা করে সরকারি সাহায্য পাবেন।

রিলিফ কমিশনারের দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, গোন্ডা হেল্পলাইন নম্বর – 8957400965 এবং লখনউয়ের হেল্পলাইন নম্বর – 8957409292 চালু হয়েছে। এর পাশাপাশি রেলওয়ে বোর্ডের তরফে কিছু হেল্পলাইন নম্বরও জারি করা হয়েছে। কমার্শিয়াল কন্ট্রোল – 9957555984, ফার্কেটিং (এফকেজি) – 9957555966, মারিয়ানি (এমএক্সএন) – 6001882410, সিমালগুড়ি (এসএলজিআর) – 8789543798, তিনসুকিয়া (এনটিএসকে) – 995755595, ডিব্রুগড় (ডিবিআরজি) – 9957555960।