আগামী ১৪ জুন মুক্তি পেতে চলেছে কবীর খান পরিচালিত ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’। বায়োপিক ধারার এই ছবিটি তৈরি হয়েছে প্যারালিম্পিকসের প্রথম স্বর্ণপদক বিজেতা মুরলীকান্ত পেটকরের জীবনের উপর ভিত্তি করে। আর মুরলীকান্ত পেটকরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কার্তিক আরিয়ানকে। প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে এক বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল স্বয়ং মুরলীকান্তকে। ছবিটি শেষ হওয়ার পরেই বদলে গিয়েছিল চারপাশের পরিবেশটা।
স্ক্রিনিংয়ে ছবিটি দেখানো শেষ হওয়ার পরে চোখের জল যেন বাঁধ মানছিল না মুরলীকান্ত পেটকরের। নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মুরলীকান্তের পুত্রও। তিনিও রীতিমতো লাফিয়ে গিয়ে কার্তিক এবং কবীরের হাত ধরে আলিঙ্গন করে আনন্দে কেঁদে ফেলেন।
View this post on Instagram
এই ছবিটিতে কার্তিক আরিয়ানের তুখোড় অভিনয় দেখা গিয়েছে। ছবিতে ফ্রিস্টাইল সাঁতারুর মতো যাতে দেখতে লাগে তাঁর জন্য কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অভিনেতাকে। এর জন্য কঠোর কসরত করে নিজের ৯০ কেজি ওজন ৭২ কেজিতে নামিয়ে এনেছেন। শুধু তা-ই নয়, বডি ফ্যাটও কমিয়েছেন প্রচুর। এই ছবির জন্য কার্তিক নিজের দেহের ৩৯ শতাংশ বডি ফ্যাট নামিয়ে এনেছেন ৭ শতাংশে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ভাইরাল বিফোর-আফটার ট্রান্সফরমেশন ছবিও শেয়ার করেছেন কার্তিক। যা দেখে কার্যত চমকে গিয়েছেন তাঁর ভক্তরাও। News18 Showsha-র সঙ্গে এক বিশেষ আলাপচারিতায় কার্তিকের ট্রেনার বলেন, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবির জন্য অনেক আগে থেকেই অর্থাৎ সেই ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল কার্তিকের প্রোগ্রাম-ভিত্তিক ওয়ার্কআউট। তাঁর কথায়, “গোড়ার দিকে আমি স্কোয়াট, পুল-আপ এবং পুশ-আপের মতো প্রাথমিক কিছু মুভমেন্ট দিয়েছিলাম। আর কোনওটাই তিনি করতে পারছিলেন না। আমি জানতাম যে, উনি ফ্রেডি-র জন্য ওজন বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কোনওটাই করতে পারছিলেন না। এমনকী তাঁর প্রাথমিক মুভমেন্ট দেখেও আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।”