বাজেটের পর হু হু করে পড়ছে শেয়ার বাজার! ‘এই’ ৩টি বিষয় জানতেই হবে বিনিয়োগকারীদের

কলকাতা: বাজেট ঘোষণার পরই হু হু করে পড়ছে শেয়ার বাজার। ৫০০ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমে গিয়েছে নিফটি। মূলধন লাভ করে পরিবর্তনের কারণেই এই পতন বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

বাজেটে মূলধন লাভ করের আওতায়, দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ ২.৫০ শতাংশ থেকে একধাক্কায় বাড়িয়ে ১২.৫ শতাংশ করার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একইসঙ্গে নির্বাচিত সম্পদে স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভ কর বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এক বছরের বেশি সময় ধরে রাখা তালিকাভুক্ত সম্পদ এবং দু’বছরের বেশি সময় পর্যন্ত ধরে রাখা অ-তালিকাভুক্ত এবং অ-আর্থিক সম্পদ দীর্ঘমেয়াদি মূল্ধন লাভ করের আওতায় আসবে। মঙ্গলবার বাজেটে মূলধন লাভ করে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছেন অর্থমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- বাজেটে কী কী বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দিল মোদি সরকার? দেখে নিন ১০ পয়েন্টে

স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভ করে বদল: নির্দিষ্ট সেগমেন্টে স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভ কর বাড়ানো হয়েছে বাজেটে।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন, ২০২৪-২৫ সালের জন্য কয়েকটি আর্থিক সম্পদে স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভ কর ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হল।

ঘোষণা অনুযায়ী, অন্যান্য সমস্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক সম্পদে প্রযোজ্য কর হার অব্যাহত থাকবে।

দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ করে বদল: সমস্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক সম্পদে ১২.৫ শতাংশ হারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ কর দিতে হবে।

মধ্য ও নিম্ন আয় শ্রেণীর স্বার্থে মূলধন লাভের ছাড়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- বাজেটে সোনা-রুপো নিয়ে বড় ঘোষণা !

বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী, বার্ষিক মূলধন লাভের ছাড় বাড়িয়ে ১.২৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ১ লক্ষ টাকা ছিল।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, “সমস্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক সম্পদের উপর ১২.৫ শতাংশ হারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ কর দিতে হবে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের শ্রেণীর সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত আর্থিক সম্পদের উপর মূলধন লাভের ছাড়ের সীমা প্রতি বছর ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১.২৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হল”।

দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভের আওতায় কোন কোন সম্পদ আসবে: এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকা সমস্ত তালিকাভুক্ত সম্পদ দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সমস্ত অতালিকাভুক্ত আর্থিক এবং অ-আর্থিক সম্পদের ক্ষেত্রে, দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ বিভাগের অধীনে শ্রেণীবদ্ধ করার জন্য হোল্ডিং পিরিয়ড হবে কমপক্ষে দুই বছর। বাজেটে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে।

অ-তালিকাভুক্ত বন্ড এবং ডিবেঞ্চার, ডেট মিউচুয়াল ফান্ড এবং বাজার-সংযুক্ত ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে উপরের প্রযোজ্য হারে মূলধন লাভ কর দিতে হবে।