চেন্নাই: বিমানবন্দরের ডিপারচার লাউঞ্জের একটা দোকান। আর সেই দোকানের মাধ্যমেই গত ২ মাসে প্রায় ২৬৭ কেজি সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। যার মূল্য প্রায় ১৬৭ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই দোকানের মালিক মহম্মদ সাবির আলি এবং ৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতর।
অভিযোগ, চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ারহাবের রিটেল শপটি চালাতেন মহম্মদ সাবির আলি। তাঁর ওই দোকানটি আসলে শ্রীলঙ্কার সোনা পাচারের সিন্ডিকেটের শাখা। শুল্ক দফতরের তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আসলে ওই সিন্ডিকেটের এক সদস্য আবু ধাবির বাসিন্দাই দোকানটির ফান্ডিং করেছেন। তবে লিজ পাওয়ার জন্য ডিপোজিট হিসেবে ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়ার মতো আর্থিক সংস্থান ছিল না।
Vidvedaa PRG-র থেকে চুক্তি নিয়েছিল এয়ারহাব। Vidvedaa-র এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই পাচারচক্রের কথা ফাঁস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এয়ারহাবের চুক্তি রদ করা হয়েছে। অভিযোগ, সোনা পাচারের জন্য আলি এবং তাঁর সাত কর্মীকে নিয়োগ করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। মূলত তাঁরা বিমান যাত্রীদের দেওয়া সোনা বিমানবন্দরের বাইরে থাকা রিসিভারদের হাতে তুলে দিতেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, ২৯ বছর বয়সী আলি চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। আসলে আলির ইউটিউব চ্যানেল শপিং বয়েজের মাধ্যমেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সিন্ডিকেট। সোনা পাচারের জন্য তাদের হয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর বিলবোর্ডে Vidvedaa PRG-র কিছু বিজ্ঞাপন দেখে সমস্ত তথ্য জোগাড় করে ওই সিন্ডিকেটই তাঁকে রিটেল শপ খোলার আইডিয়া দেয়।
আরও পড়ুন- হাতে কাগজ নিয়ে জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে নালিশ দুই শিশুর ! ওদের কথা শুনে প্রত্যেকেই অবাক
সূত্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, সাবির আলির এই কাজে আগে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। সিন্ডিকেটের দেওয়া অর্থের সাহায্যেই ডিপোজিটের টাকা দিতে সক্ষম হন তিনি। যা তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই দোকানটি খোলা হয়েছিল। সাবির আলি একটি অনলাইন জব পোর্টালের মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করেছিলেন।
শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, সাবির আলি এবং তাঁর এয়ারহাবের কর্মীরা এই কাজ করে গত ২ মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকার কমিশন পেয়েছিলেন। তবে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটির আইডেন্টিটি কার্ড কীভাবে অভিযুক্তরা জোগাড় করেছিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা বিমানবন্দরের নিয়মরীতির লঙ্ঘন বলেও দাবি সূত্রের।