Tag Archives: Smuggling

Hilsa smuggling Bangladesh to India: ভারত ডিম পাঠালেও ইলিশ পাচারে কড়া বাংলাদেশ, এপারে পাচারের সময়ে উদ্ধার ২৫ লাখ টাকার ইলিশ

চোরা পথে ব্যবসায়ীরা ভারতে ইলিশ পাঠানোর চেষ্টা করলেও কড়া হাতে তা বাজেয়াপ্ত করছে বাংলাদেশ সরকার। সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি ইলিশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যার বাজারদর ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
চোরা পথে ব্যবসায়ীরা ভারতে ইলিশ পাঠানোর চেষ্টা করলেও কড়া হাতে তা বাজেয়াপ্ত করছে বাংলাদেশ সরকার। সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি ইলিশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যার বাজারদর ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
বুধবার বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে ৬২০ কিলো ইলিশ উদ্ধার করেছিল বিজিবি, যার বাজারদর ১২ লক্ষ টাকার বেশি।
বুধবার বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে ৬২০ কিলো ইলিশ উদ্ধার করেছিল বিজিবি, যার বাজারদর ১২ লক্ষ টাকার বেশি।
সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার বিওপির ঘিলাতলী সীমান্ত এলাকায় বুধবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গে পাচারের সময় ২৭৫ কেজি ইলিশ বাজেয়াপ্ত করা হয় করা হয়।
সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার বিওপির ঘিলাতলী সীমান্ত এলাকায় বুধবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গে পাচারের সময় ২৭৫ কেজি ইলিশ বাজেয়াপ্ত করা হয় করা হয়।
অর্থাৎ ১৩৩৫ কেজি ইলিশ শেষ দুই দিনে ভারতে পাচারের সময়ে ধরা পড়েছে, তার বাজারদর বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ লাখের বেশি।
অর্থাৎ ১৩৩৫ কেজি ইলিশ শেষ দুই দিনে ভারতে পাচারের সময়ে ধরা পড়েছে, তার বাজারদর বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ লাখের বেশি।

Malda Smuggling News: বাংলা থেকে বিহারের পথে ধরা পড়ল বাইকআরোহী! তল্লাশি চালিয়ে যা মিলল, চমকে যাবেন!

মালদহ: মোটর বাইকে করে মাদক পাচারের চেষ্টা। বাইকে করেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মাদক নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারী। তবে পথেই ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। বাইকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার। মালদহের পুখুরিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত পাচারকারীকে।

আরও পড়ুন: মৃতের শেষ ইচ্ছাপূরণে এক হয়ে গেল দুই দেশ, বিএসএফের তৎপরতায় ভাইয়ের শেষ দেখা পেলেন বোন

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম জসিম শেখ। বাড়ি কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন গভীর রাতে পুখুরিয়া থানার পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। আড়াইডাঙা রাণী মোড় থেকে সন্দেহজনক অবস্থায় অভিযুক্তকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় পুলিশ তল্লাশি চালায়। বাইকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৪৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। চোরা বাজারে উদ্ধার ব্রাউন সুগারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত ব্রাউন সুগারগুলি কালিয়াচক থেকে বিহারে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মালদহ জেলা আদালতের পেশ করেছে। সাত দিনের পুলিশে হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।

হরষিত সিংহ

Smuggling Takshak: জ্যান্ত তক্ষক পাচার করতে গিয়ে বনকর্মীদের হাতে ধৃত ২

আলিপুরদুয়ার: আইন ভেঙে জ্যান্ত তক্ষক পাচার করতে গিয়ে বনকর্মীদের হাতে গ্রেফতার হল দু’জন।দু’জনেই আলিপুরদুয়ার জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের বাড়ি ফালাকাটায়। বন কর্মীরা দু’জনকেই ফালাকাটার কুঞ্জনগর পার্ক থেকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন: আচমকা গ্রামের ভেতর ঘুরছে লাল রঙের রহস্যময় গাড়ি! তারপর যা ঘটল জগৎবল্লভপুরে

জ্যান্ত তক্ষক সহ ধৃতদের নাম কাজী সৈকত ও আশরাফ আলি। জলদাপাড়া বন বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে কাজী সৈকত এর আগেও বন্যপ্রাণ পাচারের কাজে যুক্ত ছিল। সেই অভিযোগে তার সাজা হয়েছিল। সে ফের এই কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ল।

উত্তর-পূর্ব ভারতের মনিপুর ও প্রতিবেশী দেশ ভুটানে তক্ষকের চাহিদা আছে। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গল থেকে তক্ষক ধরে পাচার করার চক্র সক্রিয়। বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই অভিযুক্ত অসম হয়ে মনিপুরে এই তক্ষক পাচার করত। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে তাদের ধরা হয়। এই তক্ষকটি তারা কারোর বাড়ি থেকে ধরেছিল বলে খবর।

উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার জেলার গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই তক্ষক দেখতে পাওয়া যায়। এদিন বন বিভাগের তরফে দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয় বলে জানান ডিএফও প্রবীণ কাসোওয়ান।

অনন্যা দে

উড়ান ধরার তোড়জোড় চলছিল, আচমকাই বিমানসেবিকাকে মোজা খোলার নির্দেশ দেন অফিসারেরা ! তারপর যা হল… দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের

নয়াদিল্লি: সারা বিশ্ব জুড়ে উড়োজাহাজে করে সোনা, মাদক এবং বিদেশি মুদ্রা পাচার করা হয়। আর সাধারণত এই ধরনের কাজে যুক্ত থাকেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিমানকর্মীরাও। হামেশাই এহেন ঘটনা আমরা খবরে দেখি। গত মাসেই সোনা পাচারের অভিযোগে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন এক ভারতীয় বিমানসেবিকা। এদিকে আমাদের পড়শি দেশ পাকিস্তানের সরকারি উড়ান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) তো গোটা বিশ্বে পাচারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে। এরপরে তারা বিদেশে গিয়ে রীতিমতো গা-ঢাকা দেয়। এবার পিআইএ-র এক বিমানসেবিকা বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। মজার বিষয় হল, সুন্দরী ওই বিমানসেবিকা নিজের মোজার ভিতরে ডলার এবং সৌদি রিয়াল লুকিয়ে রেখেছিলেন। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন- মাটি খুঁড়তেই ঘণ্টার মতো আওয়াজ ! ওরছায় মিলল ৫০০ বছরের পুরনো মন্দিরের মতো কাঠামো

গত শনিবারের ঘটনা। আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশি মুদ্রা-সহ তাকে হাতেনাতে ধরেছে শুল্ক অফিসারেরা। এই কাজে তাঁদের সাহায্য করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এবং অভিবাসন দফতর। এর আগে ওই বিমানসেবিকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ওই পাক বিমানসেবিকার কাছ থেকে ৩৭,৩১৮ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩১২৪৩৫৬ টাকা) এবং ৪০,০০০ সৌদি রিয়াল (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৯২৬৫৩ টাকা) উদ্ধার হয়েছে। লাহৌর থেকে জেড্ডাগামী PIA-র উড়ান ধরার কথা ছিল ওই বিমানসেবিকার। তার চালচলন দেখে সন্দেহ হয় অফিসারদের। সন্দেহের ভিত্তিতে যখন বিমানবন্দরে তাকে খোঁজা হচ্ছিল, তখনই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। আর অভিযুক্তের তল্লাশির ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যায়, এক মহিলা অফিসার ওই বিমানসেবিকার মোজা থেকে তাড়া তাড়া নোট বার করতে থাকেন।

আরও পড়ুন– ইউরোপ-এশিয়ার সুন্দর দেশগুলির থেকে কোনও অংশে কম নয়; ধীরে ধীরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে রাশিয়ায়, রইল ভ্রমণের খুঁটিনাটি

পাকিস্তানি বিমান সংস্থার বিমানকর্মীরা আবার বিদেশে বিশেষ করে কানাডায় গিয়ে গা-ঢাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে কানাডাগামী উড়ানের নুর শের নামে এক সদস্য কানাডায় গিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে প্রায় ১৪ জন বিমানকর্মী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। আবার ২০২২ সালের গোড়ার দিকে কানাডায় গিয়েছিলেন ৫ জন বিমানকর্মী। তবে তাঁরা আর দেশে ফেরেননি। আবার চলতি বছর মার্চ মাসে একাধিক পাসপোর্ট-সহ টরোন্টো বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল এক পিএআইএ-র বিমানসেবিকাকে।

Animal Trafficking: চার পা, ব‍্যাগের মধ‍্যে নড়ে উঠছে ওগুলো কী? গভীর রাতের যা উদ্ধার হল…ঘটনা জানলে চোখ ছানাবড়া হবে

আলিপুরদুয়ার: ভুটানে পাচারের পথে পাঁচটি তক্ষক উদ্ধার করল এস এস বি জওয়ানরা। চড়া দামে এগুলি ভুটানে বিক্রির কৌশল করেছিল পাচারকারীরা বলে জানা যায়।

শুক্রবার গভীর রাতে তক্ষকগুলি উদ্ধার করেন এস এস বি জওয়ানরা। পাঁচটি তক্ষক উদ্ধার হয়েছে জয়গাঁ তোর্ষা চা বাগান এলাকা থেকে তক্ষকগুলিকে নীলপাড়া রেঞ্জ অফিসের বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বন দফতর এই ঘটনায় জড়িত জয়গাঁ গুয়াবাড়ি এলাকার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন: বাজ পড়ার সময় ফোন চার্জে? পুড়ে যাবে না তো? বৃষ্টি হোক বা বজ্র, বর্ষায় ফোন ভাল রাখতে কখনও করবেন না এইসব ভুল

তার নাম জানায়নি বন দফতর। তক্ষকগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল ভুটানে বলে স্বীকার করেছে অপরাধী। ঘটনার তদন্ত করছে বন দফতর। একটি ব্যাগের মধ্যে তক্ষকগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভুটানে এই তক্ষকের চাহিদা প্রচুর রয়েছে বলে জানা যায়। এই তক্ষক পাচারের সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে রয়েছে কি না তা দেখছে বন দফতর।

Annanya Dey

Chennai Airport Smuggling: চেন্নাই বিমানবন্দরে দোকানের আড়ালেই চলছিল সোনা পাচার, শুল্ক দফতরের জালে ইউটিউবার; বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর সত্যি

চেন্নাই: বিমানবন্দরের ডিপারচার লাউঞ্জের একটা দোকান। আর সেই দোকানের মাধ্যমেই গত ২ মাসে প্রায় ২৬৭ কেজি সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। যার মূল্য প্রায় ১৬৭ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই দোকানের মালিক মহম্মদ সাবির আলি এবং ৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতর।

অভিযোগ, চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ারহাবের রিটেল শপটি চালাতেন মহম্মদ সাবির আলি। তাঁর ওই দোকানটি আসলে শ্রীলঙ্কার সোনা পাচারের সিন্ডিকেটের শাখা। শুল্ক দফতরের তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আসলে ওই সিন্ডিকেটের এক সদস্য আবু ধাবির বাসিন্দাই দোকানটির ফান্ডিং করেছেন। তবে লিজ পাওয়ার জন্য ডিপোজিট হিসেবে ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়ার মতো আর্থিক সংস্থান ছিল না।

আরও পড়ুন– চলতি বছরের সেরা ইকোনমি ক্লাস এয়ারলাইনসের র‍্যাঙ্ক তালিকায় স্থান পেয়েছে কোন কোন বিমান সংস্থা? রইল সেই তালিকা

Vidvedaa PRG-র থেকে চুক্তি নিয়েছিল এয়ারহাব। Vidvedaa-র এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই পাচারচক্রের কথা ফাঁস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এয়ারহাবের চুক্তি রদ করা হয়েছে। অভিযোগ, সোনা পাচারের জন্য আলি এবং তাঁর সাত কর্মীকে নিয়োগ করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। মূলত তাঁরা বিমান যাত্রীদের দেওয়া সোনা বিমানবন্দরের বাইরে থাকা রিসিভারদের হাতে তুলে দিতেন।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, ২৯ বছর বয়সী আলি চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। আসলে আলির ইউটিউব চ্যানেল শপিং বয়েজের মাধ্যমেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সিন্ডিকেট। সোনা পাচারের জন্য তাদের হয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর বিলবোর্ডে Vidvedaa PRG-র কিছু বিজ্ঞাপন দেখে সমস্ত তথ্য জোগাড় করে ওই সিন্ডিকেটই তাঁকে রিটেল শপ খোলার আইডিয়া দেয়।

আরও পড়ুন- হাতে কাগজ নিয়ে জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে নালিশ দুই শিশুর ! ওদের কথা শুনে প্রত্যেকেই অবাক

সূত্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, সাবির আলির এই কাজে আগে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। সিন্ডিকেটের দেওয়া অর্থের সাহায্যেই ডিপোজিটের টাকা দিতে সক্ষম হন তিনি। যা তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই দোকানটি খোলা হয়েছিল। সাবির আলি একটি অনলাইন জব পোর্টালের মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করেছিলেন।

শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, সাবির আলি এবং তাঁর এয়ারহাবের কর্মীরা এই কাজ করে গত ২ মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকার কমিশন পেয়েছিলেন। তবে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটির আইডেন্টিটি কার্ড কীভাবে অভিযুক্তরা জোগাড় করেছিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা বিমানবন্দরের নিয়মরীতির লঙ্ঘন বলেও দাবি সূত্রের।

Drug Smuggling: বাইক রাইডার সেজে মাদক পাচার! নতুন ছকেও অধরা সাফল্য

মালদহ: বাইক রাইডার সেজে মাদক পাচারের চেষ্টা! পুলিশের চোখে ধুলো দিতে এই অভিনব কায়দায় মাদক পাচারের পথ বেছে নিয়েছে পাচারকারীদের একাংশ। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। ইতিমধ্যে পুলিশের জালে ধড়া পড়েছে বাইক রাইডার রূপী এক মাদক পাচারকারী।

ধৃত বাইক রাইডার সেজে শিলিগুড়ি থেকে মালদহে গাঁজা পাচার করছিল বলে অভিযোগ। যদিও শেষ পর্যন্ত মালদহ জেলা পুলিশের জালে ধড়া পড়ে। মালদহের গাজোল থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাজোল থানার পুলিশ হানা দেয় কদুবাড়ি মোড় এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর। সেখানে পুলিশের নাকা চেকিং চলছিল। সেখানেই সন্দেহ হওয়ায় মালদহগামী একটি বাইক আটক করে পুলিশ। বাইকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ব্যাগের মধ্যে থাকা বিপুল পরিমাণ গাঁজা।

আর‌ও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর ফুটপাত খালি করতে অতি তৎপর প্রশাসন, চোখে জল হকারদের

পুলিশ অভিযুক্তকে গাঁজা সহ আটক করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নামসজল চৌধুরী। বাড়ি দার্জিলিং জেলার প্রধাননগর এলাকায়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬ কেজি ৮৩০ গ্রাম গাঁজা। মালদহ জেলা পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অভিযুক্ত এই গাঁজা শিলিগুড়ি থেকে মালদহে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত নেমেছে গাজোল থানার পুলিশ‌। ধৃতকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছ।

হরষিত সিংহ

Jalpaiguri News: এভাবেই কি ধ্বংস হয়ে যাবে ডুয়ার্স? লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠ উদ্ধার! ঘুম উড়েছে পরিবেশবিদদের

জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সে ক্রমশই কমছে গাছের সংখ্যা! কিছু বছর পর ডুয়ার্সের ঐতিহ্য নিয়ে উঠবে প্রশ্ন। কী হবে ডুয়ার্সের ভবিষ্যৎ? ভবিষ্যতে ডুয়ার্সের পর্যটনের ওপরে ধাক্কা পড়তে পারে এই গাছ না থাকার কারণে। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রতিনিয়তই ডুয়ার্সের বিভিন্ন বনবস্তি থেকে বনদফতরের কর্মীরা উদ্ধার করছে বিপুল পরিমাণ কাঠ। গাছ কাটার ফলে কমছে গাছের সংখ্যা। ফলত ক্রমে বাড়ছে তাপমাত্রা। আগামী দিনের কথা ভেবেই ঘুম উড়েছে পরিবেশপ্রেমীদের।

রাতের অন্ধকারে উত্তরের ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে গাছ ধ্বংস করে কাঠ পাচারের ঘটনা হামেশাই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। প্রশাসনের নজরদারি চললেও কার্যত চোখে ধুলো দিয়ে যে এই বেআইনি কর্মকাণ্ড চলতেই থাকে তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।

আরও পড়ুন: গভীর রাতে হাতির হানা! গ্রামবাসীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ব্যক্তির, এলাকায় শোকের ছায়া

এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ গাছের গুঁড়ি ও লক্ষাধিক টাকার কঠ। সোমবার সকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ি বনবিভাগের মরাঘাট রেঞ্জের খট্টিমারি ও তোতাপাড়া বিট অফিসের কর্মীরা বানারহাট ব্লকের হলদিবাড়ি চা বাগানের মসজিদ লাইন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। অভিযানে বনকর্মীদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ১০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পুলিশ কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪টি শাল কাঠের গুঁড়ি এবং ৫০ সিএফটি চোরাই করা কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই কাঠ ও গাছের গুঁড়ি পাচারের জন্যেই নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করছিল অজ্ঞাত পাচারকারীর দল। কিন্তু কোনওভাবে পাচারকার্যে সফল হতে না পেরে কাঠগুলিকে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। এদিন সকাল হতেই অভিযানে নেমে মূল্যবান কাঠগুলিকে নিজেদের কব্জায় আনতে সক্ষম হয় বনদফতর ও পুলিশকর্মীরা। এদিনের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হলেও বনদফতর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বনদফতর।

সুরজিৎ দে

Bangla Video: স্রোত হারানো নদীর সংস্কার? ভুল ভাঙতেই স্থানীয়রা যা দেখলেন

উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্ত এলাকার বেত্রাবতী নদীতে এক সময় জল থৈ থৈ করত। অথচ আজ ময়লা আবর্জনার স্তূপে হারিয়েছে স্রোত। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই শুকনো মাটিতে বর্ষার জলে টুকটাক চাষের কাজ করেন স্থানীয়রাই। অন্যান্য সময় সেখানে গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ দেখা যায়।

তবে হঠাৎই এলাকাবাসীরা ভেবেছিলেন সংস্কার হচ্ছে নদীর। তাই কাটা হচ্ছে মাটি। সেই মাটি কেটেই কয়েক হাজার গাড়ি, মাটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তবে কি সংস্কার করা হচ্ছে না নদীর? তাহলে কেন হচ্ছে মাটিকাটা? স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানাতেই রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সেচ দফতর ও স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকেরা। এমন ঘটনা ঘটেছে বাগদা ব্লকের আশারু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোবা পশ্চিম পাড়া এলাকায়।

আরও পড়ুন: ‘চোরের ১০ দিন তো গৃহস্থের একদিন’! চম্পট দেওয়ার সময় হাতেনাতে পাকড়াও

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেত্রাবতী নদীর মাঝখান থেকে জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ট্রলি বোঝাই মাটি। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী এই কাজ করছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। বেআইনিভাবে মাটি কাটার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সেচ দফতরের দু’জনের প্রতিনিধি দল ও বাগদা থানার পুলিশ। প্রশাসন আসছে শুনেই চম্পট দেয় মাটি কাটার কাজে যুক্ত থাকারা। বিধ্যাধরী ডিভিশনের বনগাঁ মহকুমার জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এভাবে মাটি কাটা হচ্ছিল তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তবে এভাবে মাটি কাটা হলেও, আদৌ কি কোন‌ওদিন সংস্কার হবে এই বেত্রাবতী নদীর? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Beekeeping: সীমান্তে চোরাচালান রুখবে মৌমাছি!

নদিয়া: মৌমাছির সাহায্যে আন্তর্জাতিক সীমান্তে চোরাচালান ঠেকাবে বিএসএফ! নদিয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ হেমন্ত চোরাচালনের জন্য বহুদিন ধরে কুখ্যাত। সেই চোরাচালানে রাশ টানতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের উদ্যোগে সীমান্তের কাঁটাতারে পালন করা হচ্ছে মৌচাক।

এদিকে সীমান্তের কাঁটাতারে মৌমাছির লালন পালনে একদিকে যেমন সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে তেমনই উপার্জনের পথ খুলে গিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কাদিপুর সীমান্তে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্ব মৌমাছি পালন দিবস পালন করা হল সম্প্রতিI বিএসএফএ ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান আসার পর নদিয়া জেলায় প্রথম কাদিপুর বিওপিতে তারা মৌমাছি পালন শুরু করে ওই এলাকার উন্নয়নের জন্যI এই ব্যাটেলিয়ান আসার পর গ্রামের বিভিন্ন মহিলা এবং পুরুষরা এই কাজে যুক্ত হয় এবং তাঁরা এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে গাড়ি রেখে চোখ ফেরালেই ভ্যানিশ! এখানে এলে সাবধান

এই উদ্যোগের পাশাপাশি মৌমাছি পালন করার ফলে সীমান্তে সুরক্ষার বিষয়টিও অনেকটা জোরদার করা সম্ভব হয়েছে। বিএসএফের মতে, সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠলে চোরাচালানে রাশ টানা সহজ হবে।

প্রায় এক বছর ধরে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান কাদিপুর গ্রামের বিভিন্ন যুবক-যুবতীদের নিয়ে এই মৌমাছি পালন করে চলেছে। এলাকার সাধারণ মানুষের এই কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা বিশেষ লক্ষ্য করা গেছে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট চোখে পড়ার মত। বিএসএফের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।

মৈনাক দেবনাথ