'যথাযথ তদন্ত হচ্ছে', আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পরিষেবা চালুর অনুরোধ স্বাস্থ্যসচিবের

RG Kar Doctor Death: ‘যথাযথ তদন্ত হচ্ছে’, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে পরিষেবা চালুর অনুরোধ স্বাস্থ্যসচিবের

কলকাতা: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগম জানালেন, তিনি নিজে গিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। চিকিৎসা পরিষেবা চালু না হলে যে ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, সে বিষয়ে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্য সচিবের।

আরও পড়ুন-  পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীও নিজে গিয়ে দেখা করে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আমরা আবার বলছি যথাযথ তদন্ত হচ্ছে। একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসকদের কাছে আমাদের অনুরোধ, যথাযথ ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিন। যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়।”

নিগম আরও বলেন, “আমরা চাই এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়। রাজ্য চায় পরিষেবা যথাযথ হোক। রোজ এক লক্ষ টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা হয়। ১২-১৫ লক্ষ আউটডোর হয়।” সেখানে বর্তমানে যে অব্যবস্থা চলেছে তাতে রোগী মৃত্যু এবং হয়রানির ছবি স্পষ্ট। মমতা নিজেও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই গতকালের বৈঠক ডেকেছিলেন নবান্নে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। বিক্ষোভের আঁচ শহরের হাসপাতাল ছাড়িয়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে জেলা হাসপাতালগুলিতেও। রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ পরিষেবা। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে লাগাতার বিক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরগুলিতে। কী ভাবে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন-  পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

অন্য দিকে, মঙ্গলবার হাইকোর্টে পৌঁছেছে আরজি কর কাণ্ডের কেস ডায়েরি। সিপিএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন গতকাল এক প্রাক্তন সরকারি ফরেনসিক এক্সপার্টের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, এ হেন ভয়াবহ অপরাধ একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বিকাশ সাফ বলেন, “আদালত জানতে চাইলে সেই নাম আমি বলতে পারি।”
অন্য দিকে প্রশাসনের দাবি, পরিবারের তরফে তদন্ত নিয়ে যে অনুরোধ রাখা হয়েছে তা মেনে চলছে পুলিশ। প্রতিদিন একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার পরিবারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেছেন।