সব বাড়িতেই দেওয়াল ঘড়ি থাকে, কিন্তু অনেক সময় মানুষ জেনে-বুঝে ভুল দিকে তা রাখে, যা বাস্তু দোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে এবং মানুষ বুঝতে পারে না কোথায় ভুল হচ্ছে।ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার চৌবে (রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্যোতিষশাস্ত্রে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত) স্থানীয় ১৮ কে বলেছেন যে দেওয়াল ঘড়ি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটি সঠিক দিকে স্থাপন করা উচিত। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ভুল করেও ঘড়ি দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে রাখা উচিত নয়। এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তি আসে। প্রত্যেকেরই ঘড়ির বাস্তু জানা উচিত, কারণ এটি শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে।জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার চৌবে বলেন, দেওয়াল ঘড়ি ঝোলানোর জন্য এই দুটি দিকই সেরা। প্রথম পূর্ব দিক এবং দ্বিতীয় উত্তর দিক। আপনি যদি উত্তরমুখী দেওয়ালে একটি ঘড়ি স্থাপন করেন তবে আপনি সেই দেওয়ালটিকে নীল রং বা আকাশি নীল রং দিয়ে আঁকতে পারেন। কারণ সেই দিকটি জলের। এমন অবস্থায় যখন সেই রঙের ঘড়ি সেখানে বসানো হয়, তখন ইতিবাচক শক্তি চারগুণ বেড়ে যায়।দিব্যা ছাবরা জানাচ্ছেন, বাড়ির দক্ষিণমুখী দেওয়ালে বা টেবিলে ঘড়ি কখনওই রাখা উচিত নয়৷ বাস্তু পরামর্শদাতা জানাচ্ছেন, বাড়ির দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ঘড়ি রাখলে বাড়ির প্রধান ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপরে তা খারাপ প্রভাব ফেলে। ঠিক একইভাবে, দরজার উপরেও ঘড়ি কখনওই রাখা উচিত নয়। দরজার উপরে ঘড়ি রাখলে সংসারে মানসিক চাপ বাড়ে৷ সবসময় পরিবারে চিন্তার পরিবেশ থাকে৷ এমনকি, সংসারে আর্থিক সংকটও সৃষ্টি করতে পারে।বাড়িতে ভাঙা ঘড়ি কখনওই রাখা উচিত নয়৷ এটি রাহুর প্রভাব বাড়ায় বলে মনে করা হয়৷ তাই ভুল করেও ভাঙা ঘড়ি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। শুধু বন্ধ ঘড়িই নয়, ভুল সময় দেখানো ঘড়িও সংসারের বাস্তু দোষের কারণ হতে পারে। এমতাবস্থায় হয় ঘড়ি ঠিক করা উচিত, নয় তা বাতিল করা উচিত।
