‘মোদি সরকার ভারতীয় সেনার সঙ্গে না চিনের সঙ্গে?’ লাদাখ ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ রাহুলের

#নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে না-পারলেও প্রতিদিন ট্যুইটারে কেন্দ্রকে তুলোধনা করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ আজ অর্থাত্‍ বুধবার লাদাখ সীমান্ত ইস্যুতে মোদি সরকারকে একহাত নিলেন রাহুল৷ ট্যুইটারে রাহুল কেন্দ্রকে নিশানা করে লিখলেন, ‘মোদি সরকার ভারতীয় সেনার পাশে নাকি চিনের?’

কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য সনিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছেন রাহুল৷ কিন্তু সংসদে উপস্থিত না থাকলেও পরিযায়ী শ্রমিক, দুর্বল অর্থনীতি, মূল্যবৃদ্ধি থেকে লাদাখ– সব ইস্যুতেই কেন্দ্রকে তোপ দাগছেন কংগ্রেস সাংসদ৷

রাহুল ট্যুইটারে লিখলেন, ‘আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে (আপনারা ক্রোনোলজিটা বুঝুন), প্রধানমন্ত্রী বলেন সীমান্তে কেউ ঢোকেনি৷ চিনের ব্যাঙ্ক থেকে মোটা ঋণ নেন৷ তারপর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন অনুপ্রবেশ হয়েছে৷ এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন অনুপ্রবেশ হয়নি৷ মোদি সরকার ভারতীয় সেনার  সঙ্গে না চিনের সঙ্গে? এত ভয় কীসের?’

মঙ্গলবার লাদাখ ইস্যুতে বিবৃতি দিতে গিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ বুধবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করে, গত ৬ মাসে ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি৷ এ দিন রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনিল আগরওয়াল বলেন, ‘গত ৬ মাসে ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি৷ তবে পাকিস্তান থেকে ৪৭ বার ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি থেকে৷’

গত মে মাস থেকে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি৷ সংসদে প্রশ্ন ওঠে, যদি সীমান্তে কোনও আক্রমণ হয়েই না থাকে, তা হলে ভারত কেন সীমান্তে স্থিতাবস্থা চাইছে এপ্রিল মাস থেকে৷ কেন একের পর এক কূটনৈতিক ও মিলিটারি পর্যায়ের আলোচনা চলছে৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদী বা বহিরাগতদের ভারতের মাটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে অনুপ্রবেশ শব্দবন্ধটি সার্বিক ভাবে উল্লেখ করেছেন রাজনাথ সিং৷ তার মানে এই নয়, চিন সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটেছে৷ রাজনাথ সিং মঙ্গলবার সংসদে বলেন, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা বিগড়ে দিতে একাধিক চেষ্টা হয়েছে পূর্ব লাদাখে৷ কিন্তু ভারতীয় সেনা বীরের মতো রুখে দাঁড়িয়েছে৷ যোগ্য জবাব দিয়েছে৷’