করোনা আশঙ্কায় ফুচকায় অনীহা! তেঁতুলজলের বিশেষ যন্ত্রই করছে মুশকিল আসান, ভাইরাল

#রাইপুর: ফুচকা, পানিপুরি, গোলগাপ্পা, পানি বাতাসা…ভালবাসার আর এক নাম। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে লকডাউন জারি হওয়ার পরে ভারতবাসী কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল, তা কম-বেশী সকলেরই এখন জানা। কিন্তু ফুচকা না পেয়ে যে সমস্যা আরও খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার  প্রমাণ মিলেছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে।

লকডাউনে বাড়ি বসে অনেকে অনেক কাজ শিখেছেন। ঘর মোছা, বাসন মাজার পাশাপাশি শিখিছেন নানা পদের রান্না। তার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই রপ্ত করে ফেলেছেন ফুচকার রেসিপি। আকার বা আকৃতিতে যেমনই হোক না কেন, ফুচকা তো! আট থেকে আশির রসনাতৃপ্তির অন্যতম উপাদান যে ফুচকা, তা লকডাউনে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন অনেকেই।

কিন্তু এভাবে কতদিন? বাড়িতে ফুচকা বানানো মানে ঝক্কির একশেষ। সময় লাগে তো বটেই, সঙ্গে রয়েছে হাড়ভাঙা খাটুনি। আবার সব করেও অনেকক্ষেত্রেই স্বাদ ঠিক পাড়ার বা অফিসের নীচের প্রিয় ফুচকাওয়ালা কাকু বা দাদাদের মতো মোটেই হয় না। তাই আনলক  শুরু হতেই ফুচকাপ্রেমীরা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন।

কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই ইচ্ছা থাকলেও উপায় হচ্ছে না। বাড়ির কথা ভেবে বা নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই ফুচকা খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন। কারণ, হাত যতই পরিষ্কার থাকুক, সংক্রমণের ভয় একটা থেকেই যায়। এ  বারে সেই সমস্যারই সমাধান করে ফেলেছেন ছত্তীসগড়ের রাইপুরের এক ফুচকা বিক্রেতা। তিনি এমন এক যন্ত্র নিয়ে বসছেন, যাতে হাতের আর তেমন প্রয়োজন পড়ছে না। ফুচকাপ্রেমীরা নিজেরাই আলুভরা ফুচকা সেই যন্ত্রের নীচে ধরছেন, তেঁতুল জল পড়ছে ফুচকায়। আর তারপরেই মুখে ভরে নিচ্ছেন মহা আনন্দে। এতে সংক্রমণের ভয় কমেছে অনেকটা।

বিশেষ এই যন্ত্র এবং ফুচকা বিক্রেতার একটি ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন  IAS অবনীশ শরণ। নিমেষে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের একাংশ ফুচকা বিক্রেতার এই অভিনব ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। অনেকেই তাঁর তারিফ করেছেন সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করার জন্য। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ পোস্টটি লাইক করেছেন।

ফুচকা বিক্রেতা তাঁর এই মেশিনের নাম দিয়েছেন ‘Touch Me Not Pani Puri’। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তেঁতুল জলের মেশিনটিতে তিনটি নজেল রয়েছে। তাতে ৩টি ফ্লেভারের জল রয়েছে। একটিতে রসুন ফ্লেভার, একটিতে খাট্টামিঠা এবং আরেকটিতে ধনিয়া-পুদিনা। অর্থাৎ, আলুমাখা ভর্তি ফুচকা যে ফ্লেভারের জল দিয়ে খেতে ইচ্ছুক ক্রেতা, তিনি সেই নজেলের নীচে ফুচকা ধরলে পরিমাণ মতো জলে ভর্তি হচ্ছে ফুচকায়। তার পরে মুখে দিলেই বাজিমাত।