অধীররঞ্জন চৌধুরী৷

Adhir Ranjan Chowdhury: পদত্যাগ করেননি অধীর, মন্তব্য ঘিরে কেন জল্পনা? কংগ্রেসের সাংগঠনিক রীতিতেই বিভ্রান্তি

কলকাতা: শুক্রবার অধীর চৌধুরীর একটা মন্তব্যে কার্যত ঝড় বয়ে যায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। মৌলালি যুব কেন্দ্রে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধীর। এর পরেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে নিজেকে ‘অস্থায়ী সভাপতি’ বলে উল্লেখ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

সঙ্গে সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়ে যায় দায়িত্ব থেকে সরে দাড়ালেন বহরমপুরের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ। কেনও এরকম জল্পনা? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, রাজ্যে এবার খুবই খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। সারা দেশে দলের আসন অনেক বাড়লেও রাজ্যে মাত্র একটিই আসন জিততে সমর্থ হয়েছে দল। দ্বিতীয়ত, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন জোটের জটিতলা নিয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল হাইকম্যান্ডের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের।

আরও পড়ুন: উপনির্বাচনেও আকচাআকচি, বাগদায় প্রার্থী দিল কংগ্রেস, রায়গঞ্জে বদলা নেবে ফরওয়ার্ড ব্লক?

বামেদের সঙ্গে জোট হলেও রাজ্যের শাসকদলের সাথে সমীকরণ অবনতির দিকে এগোচ্ছিল। যার প্রভাব পড়তে শুরু করে জাতীয় রাজনীতিতে। একটা সময় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মল্লিকার্জুন খাড়গে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছিলেন, “সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। যাদের না পোষায় চলে যেতে পারে।” পালটা দিয়েছিলেন অধীরও। খাড়গের সঙ্গে প্রদেশ সভাপতির মতানৈক্য এবং রাজ্যের খারাপ ফল। এই দুইয়ে দুইয়ে চার হয়ে যাওয়াতেই এই রকম জল্পনা ছড়িয়েছে

আসল সত্যটা কী? লোকসভা নির্বাচনের ব্যর্থতা নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিভিন্ন জেলার সভাপতি, প্রার্থী এবং শাখা সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক, বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নিক রাহুল গান্ধি। দুই, নতুন করে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি গঠনের সমস্ত দায়িত্বভার সর্বভারতীয় সভাপতির হাতে তুলে দেওয়া হলো।

অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, “আমি অস্থায়ী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি কে হবেন সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলে সর্বভারতীয় সভাপতি।” যদিও শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বর্ধিত সভায় অধিকাংশ বক্তাই অধীর চৌধুরীর পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তাদের দাবি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বেই এই রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াবে দল। অধীর বলেন, “কংগ্রেসের সাংগঠনিক রীতি অনুযায়ী নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর সমস্ত প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি অস্থায়ী হয়ে যায়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু আমি পদত্যাগ করেছি বলে যা বলা হচ্ছে তা সঠিক না। আমি আগেও করিনি, আজও করিনি।”