ভারতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য ঘিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রায়ই বিভ্রান্ত থাকেন স্বাস্থ্যের জন্য গরুর দুধের ঘি না মোষের দুধের ঘি কোনটি বেশি উপকারী তা নিয়ে। সঠিক ঘি নির্বাচন করতে তাদের মধ্যে পার্থক্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন যাতে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য অনুযায়ী সঠিক ঘি বেছে নিতে পারি।গরুর দুধের ঘি হালকা ও সহজপাচ্য। গরুর দুধের ঘি আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক উভয় চিকিৎসা ক্ষেত্রেই বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি হালকা এবং সহজপাচ্য, যার কারণে এটি হজমের ক্ষমতাকে বাড়ায়। গরুর দুধের ঘি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ফ্যাট গুড ফ্যাট নামে পরিচিত যেটি হৃদরোগীর জন্যও ভাল বলে মনে করা হয়, কারণ এগুলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।আয়ুর্বেদ অনুসারে, গরুর দুধের ঘি ত্রিদোষনাশক, অর্থাৎ এটি বাত, পিত্ত এবং কফ এই তিনটিরই ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি মনকে শান্ত রাখতে এবং মানসিক শান্তি দিতেও সহায়ক।মোষের দুধের ঘি বেশি ক্যালোরি ও শক্তি দেয়। গরুর দুধের ঘিয়ের থেকে মোষের দুধের ঘি ঘন এবং এতে ক্যালোরি বেশি থাকে। এটির ব্যবহার এমন মানুষদের জন্য উপকারী যাঁদের বেশি শক্তির প্রয়োজন, যেমন যে সমস্ত মানুষ শারীরিক কসরত বেশি করেন বা যাঁরা ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।মোষের দুধের ঘিতেও ভিটামিন এ, ডি এবং ই থাকে তবে এতে চর্বি বেশি থাকে, যার কারণে এটি বেশি ক্যালোরি সরবরাহ করে। শীতকালে মোষের দুধের ঘি শরীরে উষ্ণতা দেয় এবং মাংসপেশি ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।কোন ঘি বেছে নেওয়া উচিত? সিনিয়র ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মনোজ সিং তানওয়ারের মতে, কেউ যদি হালকা এবং সহজে হজম করার মতো ঘি খেতে চান তাহলে গরুর দুধের ঘিই সবচেয়ে ভাল বিকল্প। এটি হার্টের জন্যও নিরাপদ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অন্য দিকে, কারও যদি আরও শক্তির প্রয়োজন হয়, তবে তার জন্য মোষের দুধের ঘি খাওয়াই সঠিক হবে।
