২০২০ সালের ২০ মে বাংলার দিঘা এবং হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় 'আমফান'। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি এই ঝড় ধ্বংসলীলা চালায় ওড়িশাতেও। ওড়িশার বালেশ্বর, কেন্দ্রাপাড়া,ভদ্রকের মতন উপকূলীয় স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৫০ কিলোমিটার। প্রতীকী ছবি।

Cyclone Dana Update: দানবীয় ‘দানা’র হুঙ্কার,আছড়ে পড়বে ১২০ কিমি গতিবেগে, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত নৌবাহিনী

কলকাতা: ভয় দেখাচ্ছে ‘দানা’। দাপাতে-কাঁপাতে প্রস্তুত তীব্র শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আছড়ে পড়ার সময় ‘দানা’র গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।

মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, এই ঝড়ের তাণ্ডব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায়। এই তিন জেলাতে বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ‘দানা’র ল্যান্ডফলের সময় এই তিন জেলায় ঝড়ের সম্ভাব্য গতিবেগ হতে পারে ১১০-১২০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত ভরতীয় নৌবাহিনী।

Humanitarian Assistance and Disaster Relief (HADR) অপারেশনের জন্য তৈরি ভারতীয় নৌবাহিনী। অন্ধ্র প্রদেশ,ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য দুর্যোগ ও ক্ষয়-ক্ষতির মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছেযে-সমস্ত অঞ্চলে, সেখানে পানীয় জল, খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ কার্যে সাহায্যের জন্য মজুত রয়েছে দুটি জাহাজ ও ডুবুরির দল।