বঙ্গোপসাগরে শক্তি হারিয়েছে নিম্নচাপ। তবে এবার অন্য অশনি সংকেত। নিম্নচাপের প্রভাবেই দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে তৈরি হয়েছে একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত।-আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর কোঙ্কন থেকে দক্ষিণ বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ছত্রিশগড়ের ঘূর্ণাবর্তের উপর দিয়ে গিয়েছে।মূলত এই অক্ষরেখার প্রভাবেই বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চরম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। শুধু বাংলা নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ডে এবং ছত্রিশগড়ে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে আগামী তিনদিন।নিম্নচাপ অঞ্চলটি ওড়িশার অভ্যন্তর থেকে উত্তর মধ্য মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত বর্তমান অবস্থান থেকে প্রায় চার দিন যাত্রা করতে পারে। আবহাওয়ার এই সিস্টেমটি পশ্চিমতম অবস্থানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে চলার সম্ভাবনা। আর এরই জেরে রাজস্থানের কিছু অংশ এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানার উত্তরের সমভূমিতে রিট্রিট মোডে রয়েছে বর্ষা।দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা-সহ বাকি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে।বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে।আবহাওয়ার দফতরের পূর্বাভাসে উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষনের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চরম বৃষ্টিপাত হবে দার্জিলিঙে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে।ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতে।বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলাতে প্রবল বর্ষণের সতর্কবার্তা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা থাকছে দার্জিলিং এবং কালিম্পং ২ পার্বত্য জেলাতে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কোচবিহারে এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।শুক্রবারেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহার জেলাতে।টানা বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ধস নামার প্রবল সম্ভাবনা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ দুই বঙ্গের নদীর জলস্তর অনেকটা বাড়তে পারে। কোথাও কোথাও নদীর জলস্তর বিপদ সীমার ওপরে উঠতে পারে।একইসঙ্গে নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা। বৃষ্টির জন্য পার্বত্য এলাকার রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমতে পারে। বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের।
