আবহাওয়া ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। দানার ভয়াবহ তাণ্ডব শেষে উত্তর ওড়িশার নিম্নচাপ অঞ্চলটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি এখনও দুর্বল অবস্থায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম আরব সাগরে উচ্চ বায়ুর একটি ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালন গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করছে।লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চল থেকে উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূল পর্যন্ত গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪.৫ থেকে ৫.৮ কিমি উপরে আরও একটি সিস্টেম রয়েছে। পাশাপাশি অসমের কেন্দ্রীয় অংশে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। আর তারই জেরে এবার বদলাতে চলেছে গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গার আবহাওয়া।গত ২৪ ঘণ্টায়, লাক্ষাদ্বীপে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, কর্ণাটকের দক্ষিণ উপকূল এবং দক্ষিণ তামিলনাড়ুতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে।অন্যদিকে, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, রায়ালসিমা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হালকা বৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ কেরলের এক বা দুটি জায়গায় ভারী স্পেল-সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।পাশাপাশি, পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত, ছত্তিশগড়ের কিছু অংশ, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উপকূলীয় কর্ণাটকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।দিল্লি-এনসিআর-এ আগামী কয়েকদিনে আবহাওয়ার কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এখানে আকাশ থাকবে মূলত পরিষ্কার। শনিবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া দফতর বলছে, রবিবার ও আগামী কয়েকদিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।কেরলে কমলা সতর্কতা : কেরলের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আজ রবিবার কোঝিকোড়, ওয়েনাড, ত্রিশুর, এর্নাকুলাম, পালাক্কাদ, মালাপ্পুরমে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে দানার প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়েছে: কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকায় আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও কেরলে থেমে গিয়েছে ভারী বৃষ্টি। এছাড়াও অনেক জায়গায় জমা জলের স্তর কমে গিয়েছে। জনজীবন ছন্দে ফিরছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজও ওড়িশা, বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।উত্তর প্রদেশ-বিহারের আবহাওয়া পরিস্থিতি : উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বেশিরভাগ জেলায় আবহাওয়া মতের উপর পরিষ্কার থাকবে। তবে প্রতিদিন যতই দিন যাচ্ছে, একটু একটু করে শীতের ভাব অনুভূত হচ্ছে রাজ্যগুলিতে।পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলায় তাপমাত্রার পারদ ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। লখনউতেও সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডা অনুভূত হতে শুরু করেছে। দানা ঝড়ের কারণে শনিবার বিহারের অনেক জায়গায় হালকা বৃষ্টি দেখা গিয়েছে। আজ রবিবার বেশিরভাগ জায়গায় আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।রাজস্থানে ঠান্ডা বাড়ছে : রাজস্থানেও আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে দ্রুত। এখানে আকাশ পরিষ্কার থাকায় রাতের বেলা মানুষ ঠান্ডা অনুভব করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। অনেক জেলায় এরইমধ্যে তাপমাত্রার পারদ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে চলে গিয়েছে।
