অষ্টমী পেরিয়ে নবমী পড়ে গিয়েছে। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কাঠ ফাটা রোদে নাজেহাল হয়েছে উৎসাহী ভিড়। আকাশের মুখ ভার দুপুরের পর থেকেই। বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না পুজোয়। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের উপর দু-দুটি ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়েছে। দেশের আবহাওয়ায় এবার দ্বিগুণ দুর্যোগের অশনি সঙ্কেত। কী হতে চলেছে আগামী দু-তিন দিনে? বড় সতর্কতা জারি করল আইএমডি।আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পুজোর শেষ দুই দিন পরিষ্কার আকাশই থাকবে। বৃষ্টিহীন ভাবেই কাটবে বিসর্জন পর্ব। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে খুব অল্প সময়ের জন্য। ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই আপাতত নেই। রবিবারের পর আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হবে আবার। লক্ষ্মীপুজোর আগে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বললেই চলে।দশমীতে কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে, তবে গরম থেকে স্বস্তি মিলবে না । দুপুরের পর আকাশ একটু মেঘলা হতে পারে। বিকেল বা সন্ধের দিকে কয়েক পশলা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হবে না। রাতের ও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরেই থাকবে । বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় ঘাম থেকে রেহাই মিলবে না।বিক্ষিপ্তভাবে খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে শনিবার বিজয়ার দিনও। কোনও কোনও জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে হুগলি , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি আছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী কয়েক দিন এমনই থাকবে আবহাওয়া।ইতিমধ্যেই লাক্ষাদ্বীপ এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ এলাকা গঠনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্কাইমেট ওয়েদার ও ভারতীয় মৌসম ভবন আইএমডি।বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে ৷ এএনআই সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে এলফিন রোড, যোশী মার্গ, প্রভাবতী দেবী এলাকা জলমগ্ন ৷ প্রতীকী ছবি ৷আগামী ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল, কোঙ্কন, গুজরাত, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৷ প্রতীকী ছবি ৷আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তন হচ্ছে তাপমাত্রার। বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণের একাধিক জায়গায়। চার জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে দোসর হতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না কোথাও। হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং নদিয়ায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।পূর্বাভাস বলছে, নতুন সিস্টেমটি আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে মধ্য আরব সাগরের উপর একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত ১২ বা ১৩ অক্টোবরের মধ্যে সংগঠিত হবে নিম্নচাপ ক্ষেত্র। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কায় আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। রিপোর্ট বলছে এই সিস্টেমটি আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ এলাকায় পরিণত হবে।সিস্টেমটি ভারতের পূর্ব উপকূল বরাবর অগ্রসর হয়ে সম্ভবত একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং ১৬ অক্টোবরের দিকে অন্ধ্র প্রদেশে ল্যান্ডফল হতে পারে। মৌসম ভবন বলছে, আসন্ন নিম্নচাপটি উপদ্বীপ অতিক্রম করতে পারে এবং ১৮ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণ কোঙ্কন ও গোয়া উপকূলে একটি নিম্নচাপ এলাকা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।এই দুই আবহাওয়া সিস্টেমের প্রভাব ভারতের একাধিক এলাকায় আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। আরব সাগরের উপর ঘনীভূত সিস্টেমটির জেরে কেরল, লাক্ষাদ্বীপ এবং উপকূলীয় কর্ণাটকের কিছু অংশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।শনিবার থেকেই আবহাওয়া পরিবর্তনের আঁচ টের পেটে চলেছে বাংলা, এমনই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
