দেশ Cyclonic Circulation IMD: বঙ্গোপসাগরে এগোচ্ছে নিম্নচাপ…! ঘূর্ণাবর্ত-বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত! ২৪ ঘণ্টায় ‘নতুন’ দুর্যোগ? মঙ্গলবার কী হবে বাংলায়? আপডেট দিল IMD Gallery October 15, 2024 Bangla Digital Desk দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালনের প্রভাবে রাতারাতি আবহাওয়ার বিরাট বদল। মঙ্গবার থেকেই কী ভোল বদলাবে আকাশ? কীআপডেট আবহাওয়ার? সতর্কবাণী শুনিয়ে বড় আপডেট দিল আইএমডি। সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে। এই ব্যবস্থাটি এখন আরও সংগঠিত হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রীয় অংশের দিকে চলে গিয়েছে। আর এই নতুন সিস্টেমের জেরেই এবার রদবদল আবহাওয়ার। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর জন্য পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে সেটি আরও শক্তি বাড়িয়ে পন্ডিচেরি উপকূলের দিকে এগোবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জেরে দখিনা বাতাসে ভর করে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প ঢুকবে বাংলায়। যার জেরে শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। মূলত পরিষ্কার আকাশ। কখনও থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি কিছুটা থাকবে। মঙ্গলবার বিকেল বা সন্ধ্যের থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। শুক্র শনিবার পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশ ও সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে ভারী বৃষ্টি বা একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বাংলায়। পূর্বাভাস বলছে, পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ থাকবে সমুদ্র অঞ্চলে। এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উপকূলীয় তামিলনাড়ুতে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া সিস্টেমে আরও তীব্রতা বৃদ্ধির জেরে পরিবেশগত পরিস্থিতি ও সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেশ অনুকূল থাকবে। তবে তামিলনাড়ু উপকূলে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি সিস্টেমটি একটি ট্রপিক্যাল সাইক্লোনে পরিণত হবে কিনা তা খুব শিগগিরই নিশ্চিত হবে। এর জেরে চেন্নাই থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত তামিলনাড়ুর উপকূলরেখায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুদুচেরি, করাইকাল, নাগাপট্টিনাম, টোন্ডি এবং তুতিকোরিনের উপকূলের কেন্দ্রীয় অংশগুলিতে বন্যা ও দুর্যোগের ঝুঁকি থাকবে। এই পরিস্থিতিটি ১৫ই অক্টোবর গভীর রাতে শুরু হবে এবং ১৬ অক্টোবর দিন ও রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ত্রিচি, মাদুরাই, থাঞ্জাভুর, ইরোড, করুর, তিরুপুর, কোয়েম্বাটোর এবং উটি পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ অংশগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। ১৬ এবং ১৭ তারিখে চরম বৃষ্টিপাত চলতে পারে দক্ষিণ উপদ্বীপ এলাকায়। এই পরিস্থিতি কেরলের বেশিরভাগ অংশকে প্রভাবিত করবে। কোচি, কান্নুর, ত্রিচূড়, কোঝিকোড়, ওয়েনাড এবং ইদুক্কিতে অতি ভারী এবং দূর্যোগকারী বৃষ্টিপাত সতর্কতা জারি। এমনকি উপকূলীয় কর্ণাটক এবং দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটকেও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, মান্ডা, ম্যাঙ্গালুরু এবং কারওয়ারেও ১৬ এবং ১৭ অক্টোবর ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। ১৮ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া সিস্টেমটি দক্ষিণ উপদ্বীপ পেরিয়ে আরব সাগরে প্রবেশ করবে তখন আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করে আপডেট দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ, আইএমডি। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তীব্র বর্ষণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমডির পূর্বাভাস অনুসারে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগামী দু’দিনের মধ্যে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা। তবে, বেশ কয়েকটি রাজ্যে, বিশেষ করে দক্ষিণ উপদ্বীপের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। পশ্চিম ভারতে সোমবার (১৪ অক্টোবর) কোঙ্কন, গোয়া এবং গুজরাত অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছেও বৃষ্টি হতে পারে।