দেশ Cyclonic Circulation IMD: বঙ্গোপসাগর-আরব সাগরে জোড়া ‘সতর্কতা’…! ৭২ ঘণ্টায় কাঁপাবে দ্বিগুণ দুর্যোগ? কী হতে চলেছে বাংলায়? বিরাট আপডেট দিল IMD Gallery October 10, 2024 Bangla Digital Desk বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের উপর দু-দুটি আবহাওয়া সিস্টেম। দেশের আবহাওয়ায় এবার দ্বিগুণ দুর্যোগের অশনি সঙ্কেত। কী হতে চলেছে আগামী দু-তিন দিনে? বড় সতর্কতা জারি করল আইএমডি। ইতিমধ্যেই লাক্ষাদ্বীপ এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ এলাকা গঠনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্কাইমেট ওয়েদার ও ভারতীয় মৌসম ভবন আইএমডি। পূর্বাভাস বলছে, নতুন সিস্টেমটি আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে মধ্য আরব সাগরের উপর একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত ১২ বা ১৩ অক্টোবরের মধ্যে সংগঠিত হবে নিম্নচাপ ক্ষেত্র। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কায় আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। রিপোর্ট বলছে এই সিস্টেমটি আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ এলাকায় পরিণত হবে। সিস্টেমটি ভারতের পূর্ব উপকূল বরাবর অগ্রসর হয়ে সম্ভবত একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং ১৬ অক্টোবরের দিকে অন্ধ্র প্রদেশে ল্যান্ডফল হতে পারে। মৌসম ভবন বলছে, আসন্ন নিম্নচাপটি উপদ্বীপ অতিক্রম করতে পারে এবং ১৮ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণ কোঙ্কন ও গোয়া উপকূলে একটি নিম্নচাপ এলাকা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এই দুই আবহাওয়া সিস্টেমের প্রভাব ভারতের একাধিক এলাকায় আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। আরব সাগরের উপর ঘনীভূত সিস্টেমটির জেরে কেরল, লাক্ষাদ্বীপ এবং উপকূলীয় কর্ণাটকের কিছু অংশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে কোঙ্কন এবং গোয়াতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি প্রত্যাশিত। গুজরাতের দক্ষিণ জেলাগুলিতেও এই সময়ের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে, এই সিস্টেমটি উপকূল থেকে দূরে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি আগামী দিনে তামিলনাড়ু, দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশের দক্ষিণ উপকূলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, উপকূলীয় তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানার কিছু অংশ এবং দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটকে ১৫ অক্টোবরের কাছাকাছি প্রবল বৃষ্টিপাত আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে, ১৬ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে তেলঙ্গানা, দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক এবং দক্ষিণ মহারাষ্ট্রে। যদিও এই আবহাওয়া সিস্টেমগুলি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই উপকূলীয় রাজ্য এবং অঞ্চলগুলিকে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সতর্ক করেছে আইএমডি। কী পূর্বাভাস বাংলার আবহাওয়ার? পরিষ্কার আকাশে চলবে জমিয়ে পুজো দেখা? নাকি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা? রিপোর্ট বলছে রবিবারের পরই আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা। অন্যদিকে সামনের সপ্তাহেই শুরু হতে পারে শুষ্ক আবহাওয়া। বৃহস্পতিবার মূলত পরিষ্কার আকাশ রয়েছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় কিছুটা অস্বস্তি জারি থাকবে। তারসঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কোনও জেলার দুয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে আগামী কয়েক দিন এমনই থাকবে আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। কলকাতায় মূলত রোদ-বৃষ্টির খেলা চলছে আকাশে। দুপুরের পর কখনও মেঘলা আকাশ। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে এক পশলা হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত থাকবে না।রাতের ও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প রয়েছে তাই বৃষ্টি না হলে কিছুটা অস্বস্তি হবে দিনে ও রাতে। আজ সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় যা ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৭ থেকে ৯২ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা থাকবে ২৬ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।