ভরতপুরের গ্রামাঞ্চলের দেশীয় খেজুর গাছে এখন ফল ধরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এই ফলটি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। দেশি খেজুর ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এগুলো খেতে যেমন খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টি, তেমনই এটি স্বাস্থ্যের জন্যেও খুব উপকারী। এই ফল খেলে প্রখর রোদেও শরীর শীতলতা বজায় থাকবে।আমাদের ডায়েটকে আরও স্বাস্থ্যকর বানাতে রোজকার খাদ্যাভাসে এই ছোট্ট ফলটি রাখা যেতে পারে। খেজুর শুধু রক্তশূন্যতা নয়, কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও মুক্তি দেয়।এই ফলটি সুস্বাদু তো বটেই, এছাড়াও ফসফরাস, অ্যামিনো অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিনের দুর্দান্ত উৎস। এই ফলের গাছও দেখতে বেশ সুন্দর।পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খেজুর সিনিয়র আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. চন্দ্রপ্রকাশ দীক্ষিত লোকাল নিউজ18-এর সঙ্গে আলোচনাকালে জানান যে, এই ফলটি আমাদের দেশে অনেক জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত বটগাছের আশ্রয়ে জন্মানো একটি গাছ। এই দেশি খেজুর গাছ বছরে মাত্র দুই থেকে তিন মাসই পাওয়া যায়। বিশেষ করে এটি গ্রীষ্মকালে প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। এটি দেশি খেজুর নামে পরিচিত। গ্রামাঞ্চলে মানুষ এই খেজুর খেতে খুব পছন্দ করে। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এই ফলটি নানা রোগের নিরাময়েও উপকারী।ডা. দীক্ষিত লোকাল নিউজ 18-কে আরও জানান যে, এই ফলটিতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে একই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইবার, ভিটামিন ইত্যাদি সহ অনেক ধরনের খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এই খনিজ উপাদানগুলি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে ডা. দীক্ষিত বলেন, আজকাল অনেক নারীদের মধ্যেই রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায়। অনেক নারীরা খুব অল্প বয়স থেকেই রক্তাল্পতার শিকার হন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে মহিলারা স্বল্পমূল্যে প্রাপ্ত এই দেশি খেজুর খেতে পারেন। এটি শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে বিশষ ভাবে সহায়ক। এর পাশাপাশি এই ফলটি বমি ও শুষ্ক গলার সমস্যা বা শুষ্ক কাশি থেকেও মুক্তি দেয়। ভরতপুর অঞ্চলে এই ফলটি দেশি খেজুর বা খেজুরি নামে পরিচিত।
