মানসিক অবসাদে চরম সিদ্ধান্ত! ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বাবা ও চার মেয়ের লাশ

Delhi News: মানসিক অবসাদে চরম সিদ্ধান্ত! ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বাবা ও চার মেয়ের লাশ

নয়াদিল্লি: দিল্লির বসন্তকুঞ্জে ভয়ঙ্কর ঘটনা। একই ঘরে পাওয়া গেল বাবা ও মেয়েদের লাশ। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের অনুমান, একটো গোটা পরিবার আত্মহত্যা করেছে৷ পিছনে কোন কারণ সেটা এখনও অজানা৷

ঘটনাটি ঠিক কী? জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে হঠাৎই ফ্ল্যাটে প্রবল দুর্গন্ধ ছড়ায়৷ কোথা থেকে সেই গন্ধ আসছে প্রথমে বুঝতে পারেননি ফ্ল্যাটের বাকি সদস্যরা৷ এরপর এই পরিবার যে ঘরটিতে থাকে, সেখানে গিয়ে দরজায় বারবার ধাক্কা দিলেও কেউ দরজা খোলেনি৷ তখনই সন্দেহ হয় ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের৷

আরও পড়ুন : দিনে দুপুরে ভয়ঙ্কর ডাকাতি, ফিল্মি কায়দায় আড়াই কেজি সোনা হাতিয়ে পালালো দুষ্কৃতিরা!

দেরি না করে তারা দ্রুত পুলিশে খবর দেয়৷ লোকাল থানা থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হন পুলিশ অফিসাররা৷ তারা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন পাঁচটি লাশ ঘরে পরে রয়েছে৷ বাবা এবং তাঁর চার মেয়ে৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কারও শরীরেই কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না৷ তবে মৃতদেহগুলির পাশে তিন প্যাকেট বিষ, গ্লাস ও চামচ পাওয়া গিয়েছে৷

কে সেই ব্যক্তি? জানা গিয়েছে বাবার নাম হীরালাল শর্মা৷ তাঁর বয়স ৪৬৷ পেশায় তিনি কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতেন৷ তার চার মেয়ে নীতু, নিক্কি, নীরু, নীধি৷ প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ২৬ এর মধ্যে৷ জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে দুজন প্রতিবন্ধী ছিল৷ পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, হীরালালের স্ত্রী কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছে৷ তাঁর ক্যানসার হয়েছিল৷

আরও পড়ুন : স্কুলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক, ১৭ জন পড়ুয়াকে টিসি! জানতেই পারল না প্রিন্সিপাল

কী কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত? ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা মনে করছেন, প্রবল হতাশায় ভুগছিলেন হীরালাল৷ একা রোজগেরে হওয়ায় সংসার চালাতে হীমশিম খেতে হচ্ছিল তাকে৷ আর থাকতে না পেরেই হয়তো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে৷

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল৷ সেটা এতটাই শক্ত ছিল ধাক্কা মেরেও খোলা যাচ্ছিল না৷ ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেওয়া হয়৷ তারপর দরজা ভেঙে ঢুকি আমরা৷ ওখানে দুটো ঘর রয়েছে৷ একটি ঘরে বাবার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, দ্বিতীয় ঘরটিতে মেয়েদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে৷”

ফ্ল্যাটের বাকি বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই পরিবারকে শেষ দেখা গিয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ পুলিশের ধারণা, সেদিন বা তার পরের দিনই ঘটনাটি ঘটেছে৷