দিল্লি থেকে হরিদ্বার পৌঁছতে এবার বাঁচবে অনেকটাই সময়

১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান! মুশকিল আসান হতে চলেছে পর্যটকদের; দিল্লি থেকে হরিদ্বার পৌঁছতে এবার বাঁচবে অনেকটাই সময়

নয়াদিল্লি: পর্যটকদের জন্য দারুণ সুখবর। হরিদ্বার যাত্রা এবার হতে চলেছে আরও সহজ। আসলে বহু প্রতীক্ষিত দেওবন্দ-রুড়কী রেললাইনের নির্মাণ কাজ এখন পুরোদমে চলছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা। আসলে এই ২৭.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনটি একবার তৈরি হয়ে গেলে নয়াদিল্লি থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত রেলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা সময় বাঁচবে। দেওবন্দ-রূড়কী (Deoband-Roorkee Railway Line) রেললাইন নির্মাণের কথা প্রায় ১৮ বছর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ঘোষণার কয়েক বছর পরেও এর কাজ শুরু হয়নি। এরপর অতিমারীর কারণে লকডাউনের জেরে এই লাইন নির্মাণের কাজ ফের ব্যাহত হয় এবং ২০২১ সালে নির্ধারিত সময়ে তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন- ‘বাবা তোমার জন্য দারুণ খুশি…!’ ফাইনাল জিততেই শাহরুখকে জড়িয়ে ধরে কান্না সুহানার

দেওবন্দ-রুড়কী রেললাইনের নির্মাণ কাজ গত পাঁচ মাসে ভাল অগ্রগতি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১৭ কিলোমিটার এবং উত্তরাখণ্ডে ১০ কিলোমিটার। এই রেললাইন উত্তর প্রদেশের সাহারপুর জেলার ১৪টি গ্রামের মধ্য দিয়ে যাবে। এর জন্য জাতউল, মানঝাউল জবরপুর, নিয়ামত, বানহেরা খাস, মাজরি, সালহাপুর, রাজপুর ওরফে রামপুর, দুনিচাঁদপুর, আসাদপুর করঞ্জলি, চক্রমবাদি, দিওয়ালহেরি, নূরপুর ও দেওবন্দ হাদুদে ৮৬.২৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। একই সময়ে হরিদ্বার, উত্তরাখণ্ডের ১১টি গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে ৫১ হেক্টর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– ম্যাচ শেষে কেঁদেই ফেললেন কাব্য, ফাইনালে হারের পর সানরাইজার্স মালকিনের ভিডিও ভাইরাল !

দেওবন্দ থেকে রুড়কী পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের ফলে দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার কমে যাবে । এখন ট্রেন রুড়কী দিয়ে টপরী হয়ে যায়। নতুন লাইন নির্মাণের ফলে দেওবন্দ থেকে ট্রেন রুড়কী যাবে সরাসরি। এই রেললাইন নির্মাণের ফলে মূল রেলপথে রেল চলাচলের চাপও কমে যাবে।

বেঁচে যাবে প্রায় এক ঘণ্টা:

বর্তমানে দিল্লি থেকে হরিদ্বারের ট্রেন মুজফ্ফরনগর, টপরী অথবা সহারানপুর হয়ে যায়। আসলে টপরী এবং সহারানপুর হল প্রধান রেলপথ। এই রাস্তাটা বেশ ঘুরপথে যেতে হয়। সেই কারণে এই পথ দিয়ে ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করে। দেওবন্দ থেকে টপরী হয়ে রূড়কীর দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার এবং সহারানপুর থেকে রুড়কীর দূরত্ব ৭৬ কিলোমিটার। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। দেওবন্দ রেলওয়ে স্টেশন থেকে রূড়কী পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ নির্মাণের ফলে দূরত্ব প্রায় ২৭.৪৫ কিলোমিটার কমে যাবে। পাশাপাশি ট্রেনের গতিও বাড়বে। ফলে দিল্লি থেকে হরিদ্বার যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে। সেই সঙ্গে ট্রেনে দিল্লি থেকে দেরাদুন যাওয়ার সময়ও বেঁচে যাবে।