লাইফস্টাইল Diabetes: ডায়াবেটিসে কোন ‘মিষ্টি’ ফল দেদার খাওয়া যায় বলুন তো…? উত্তর চমকে দেবে, গ্যারান্টি! Gallery June 20, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান যে জরুরি সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একদিকে যেমন এই জ্ঞান জীবনের নানা ছোট-বড় সমস্যার সামনে মুশকিল আসনের মতো কাজে দেয়, তেমন আবার কঠিন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সহজ ধাঁধার মতো মিলিয়ে দেয় সাফল্যের পথ। তাই সাধারণ জ্ঞানের চর্চা জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে আমরা এমন কিছু সহজ উত্তর জানি না, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এমন কিছু সাধারণ জ্ঞানের তথ্য আমাদের জানা দরকার যা জীবনকে আরও উন্নত ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। নানা রোগ ব্যাধি নিয়ে মানুষের মধ্যে থাকে নানা ভুল ধারণা। আজ এই প্রতিবেদনে এমন কিছু জীবন ও জীবনচর্যামূলক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব যা একদিকে যেমন জানা জরুরি তেমনই আবার অনেকেই এই সংক্রান্ত ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে ক্ষতি করে ফেলেন নিজেদের বা কাছের মানুষের। গাজর খাওয়ার উপকারিতা কী?গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে গাজর। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে যা হাড় গঠন, নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোন মিষ্টি খেলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হয়?রসগোল্লা খাওয়া মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে। শুধু তাই নয় গরম রসগোল্লা খেলে ওজন বাড়ে না। ফাইবার থাকার কারণেেহ হজম ভাল হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, রসগোল্লা খেলে মস্তিস্ক তীক্ষ্ণ হয়। এছাড়া ডার্ক চকলেট খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। ডার্ক চকলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনল ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিসেও খাওয়া যায় কোন এমন মিষ্টি ফল আছে?এপ্রিকট। এই ফলটি স্বাদে দুর্দান্ত মিষ্টি। কিন্তু গ্রীষ্মের অন্যতম জনপ্রিয় এই ফলটিই আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি চমৎকার সমাধান। ইউএসডিএ অনুযায়ী একটি এপ্রিকটে মাত্র ১৭ ক্যালোরি এবং ৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল ডায়াবেটিসের দুর্দান্ত কার্যকরী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই মিষ্টি স্বাদের জন্য সুগারে এই ফল এড়িয়ে চলেন কিন্তু বাস্তবে এটি সুগার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে অবস্থিত পণ্ডিত ললিত মোহন শর্মা কলেজের উদ্ভিদবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক দীনেশ রাওয়াত বলেন, “এপ্রিকট উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ‘প্রুনাস আর্মেনিয়াকা’ এবং সাধারণ ভাষায় এপ্রিকট বা ‘খুমানি’ নামে পরিচিত। এই ফলটি পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায় এবং এপ্রিল থেকে অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই ফলটিতে ৬টিরও বেশি খনিজ পদার্থের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন পাওয়া যায়। একই সঙ্গে এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়।” এপ্রিকট ফলের আর কী কী উপকার আছে?ছোট তাজা ফলগুলির মধ্যে চারটি আপনার দৈনিক ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়তার ১৩৪ মাইক্রোগ্রাম (mcg) প্রদান করতে সমর্থ। এই ফল পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, ভিটামিন এ আপনার দৃষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্তচাপ কম হলে কোন ফল খাওয়া উচিত?রক্তচাপ কম হলে কিউই খাওয়া উচিত। অন্যান্য যে ফলগুলি খাওয়া ভাল সেগুলি হল, লেবু, কমলা লেবু, জাম্বুরা। এছাড়া, সবুজ শাক সবজিও রাখুন ডায়েটে। খাদ্য তালিকায় ডিম যোগ করতে পারেন কারণ এগুলি ফোলেটে সমৃদ্ধ। ভাত পুনরায় গরম করলে কী হয়?ভাত রি-হিট করলে এমনকি সেই ভাত খাওয়ার ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে। সমস্যাটির কারণ পুনরায় গরম করা নয়, তবে পুনরায় গরম করার আগে চাল যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় তা। ডায়েটিশিয়ান ডা. আশা সিংয়ের পরামর্শ, রান্না করা ভাত কিংবা সেদ্ধ আলুও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। আর এগুলিকে ফ্রিজে রাখলেও তা পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে এর মধ্যে কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার কারণে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।