বিনোদন Guess the Celebrity: চরম আর্থিক অনটন! মাত্র ১১ বছরে বাড়ি ছেড়ে…, আজ বলিউড কাঁপাচ্ছেন বিখ্যাত গায়ক-অভিনেতা, বলুন তো কে তিনি? Gallery April 4, 2024 Bangla Digital Desk তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্য সকলেই মুখিয়ে থাকেন৷ আজ এমন এক তারকার ব্যক্তিগত জীবনের কথা জানবেন যার পাঞ্জাবের জলন্ধরে জন্ম ৷ ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অনুরাগী ছিলেন তিনি। কখনও তিনি কীর্তনের জন্য গুরুদ্বারে যেতেন আবার কখনও বিয়েতে পারফর্ম করতেন। রাস্তায় কর্মরত এক অতি সামান্য ব্যক্তির ছেলে, যাকে আজ মানুষ শুধু অভিনয়ের জন্যই নয়, তার গানের জন্যও চেনে। তিনি যে কনসার্টে যোগ দেন সেখান থেকে ওয়ান্স মোর শব্দ আসতে থাকে। এই গায়ক ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার কোনওকিছু নিয়েই খুব একটা মুখ খোলেন না। সম্প্রতি তিনি তাঁর পরিবারের কথা বলেছেন এবং আজ পর্যন্ত তাকে কী যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন। চরম আর্থিক অনটনের কারণে দশম শ্রেণী পেরিয়ে পড়া আর হয়নি। আজ তিনি বিখ্যাত গায়ক৷ একাধিক গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি৷ তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ৷ তিনি কেবল পাঞ্জাবি নয়, বলিউড ইন্ডাস্ট্রিরও পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি পিতামাতার সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা বলেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ৷ দিলজিৎ বলেন, যে আমার বয়স যখন ১১ বছর, তখন আমি আমার বাড়ি ছেড়ে আমার মামার সঙ্গে থাকতে শুরু করি। আমি আমার গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে এসেছিলাম। এবং আমার বাবা-মা আমার জন্য একটি ভাল জীবন চাইতেন এবং তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি শহরে খাবার, বাসস্থান এবং স্কুলের শিক্ষা পাবেন। দিলজিৎ বলেন, আমার মামা বললেন, ‘ওকে আমার সঙ্গে শহরে পাঠাও’ আর আমার বাবা-মা বললেন, ‘হ্যাঁ, নিয়ে যাও।’ তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেনি আমি কি চাই এবং তারপর আমি লুধিয়ানায় চলে আসি। তিনি আরও বলেন, ‘একটি ছোট ঘরে একা থাকতাম। আমি শুধু স্কুলে যেতাম এবং ফিরে আসতাম, সেখানে টিভি ছিল না। আমার অনেক সময় ছিল। তাছাড়া তখন আমাদের কাছে মোবাইল ফোন ছিল না, তাই বাড়িতে ফোন করলেও বা বাবা-মায়ের ফোন রিসিভ করলেও টাকা খরচ করতে হতো। তারপর ধীরে ধীরে আমি আমার পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করি। দিলজিৎ বলেন, ‘আমি আমার মাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। আমার বাবা খুব মিষ্টি মানুষ। সে আমাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করেননি। এমনকি আমি কোন স্কুলে পড়ি তাও সে জিজ্ঞাসা করেননি। কিন্তু তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে এবং এই সম্পর্ক শুধু তার সঙ্গেই নয়, সবার সঙ্গেই ভেঙ্গে গেছে।