শিবা হোক দেওয়ার আগে চলছে পুজো।

Kali Puja 2024: পুজো হয় সবাই জানেন, কিন্তু ভয়ে দেখতে যাওয়ার সাহস হয় না কারও! কোথায় হয়?

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: ভূত চতুর্দশী। অর্থাৎ বাঙালির হ্যালোইন ডে। আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে হয়ত এই তিথি পালনের সেই অর্থে কোনও গুরুত্ব নেই। কিন্তু শাস্ত্রমতে বিশ্বাস, এদিন পূর্বপুরুষরা বাড়িতে ফিরে আসেন। তাই প্রায় প্রত্যেকটি বাঙালি বাড়িতে ভূত চতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খাওয়া বা ১৪ বাতি দেওয়ার নিয়ম আজও রয়েছে। আবার এই তিথিতে আসানসোলে হয় বিশেষ পুজো। যে পুজোর কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু তা দেখতে যাওয়ার সাহস হয় না কারোর।

আরও পড়ুনঃ পেটে জমে থাকা ‘ময়লা’ টেনে বের করে আনে! এই রঙিন ‘সবজি’ প্রকৃতির আশীর্বাদ! সামলাবে স্বাস্থ্য থেকে ত্বক

আসানসোলের মহিষিলার এক নম্বর কলোনিতে রয়েছে সাধক বনমালী ভট্টাচার্যের মন্দির। বর্তমানে দেবীর পুজোপাঠ এবং মন্দির পরিচালনা করেন তাঁর ছেলে বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। এই মন্দিরে চতুর্দশীর দিন হয় পুজো। আরাধনা করা হয় দেবী তারার। আবার বিগত ৭৩ বছর ধরে ভূত চতুর্দশীর দিন দেবীর পুজো শুরুর আগে দেওয়া হয় শিবা ভোগ। শ্মশান সংলগ্ন একটি বটগাছের নিচে পুজো করার পর শিবা ভোগ এবং ভৈরব ভোগ নিবেদন করা হয়। ভূত চতুর্দশীর দিন গা ছমছমে অন্ধকার পরিবেশে এই পুজো সম্পন্ন হয়।

প্রত্যেক বছরই এই একই নিয়ম পালন করা হয়। অতৃপ্তদের উদ্দেশ্যে এই শিবা ভোগ নিবেদন করা হয়। রাত দশটার পর অন্ধকারে করা হয় নিবেদন। এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেকেই এই পুজোর কথা জানেন। কিন্তু এই পুজো দেখতে যাওয়ার সাহস হয় না কারোর। দেবীর বীজ মন্ত্র পুজোর পর বিশ্বনাথ বাবু যান শিবা ভোগ অর্পণ করতে। রাতের অন্ধকারে শ্মশান সংলগ্ন বটগাছের নিচে গিয়ে সাধনা করেন তিনি।

পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বনমালী ভট্টাচার্য। আদতে নদীয়ার বাসিন্দা। তিনি ৭ বছর বয়সে বামাক্ষ্যাপার সান্নিধ্য পান। সাধক বামাক্ষ্যাপার শিষ্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি আসানসোলের মহিষিলায় আসেন। তখন আসানসোলের রায় পরিবার তাকে মন্দির স্থাপনের জন্য এই জায়গাটি দান করেন। সেখানেই নির্মাণ হয় দেবি কালীর মন্দির। আর তখন থেকে এখানে চতুর্দশীর দিন হয় পুজো। পুজো করা হয় দেবী তারার।

নয়ন ঘোষ